ক্রীড়াক্ষেত্রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আগেই পড়েছে। এবার তা লক্ষ্য করা গেল উইম্বলডনে। এবার অংশগ্রহণ করতে পারবেন না রাশিয়ার টেনিস খেলোয়াড়রা। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। বুধবার উইম্বলডন আয়োজকদের পক্ষে থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, “রাশিয়ার অযৌক্তিক এবং অভূতপূর্ব সামরিক আগ্রাসন মেনে নেওয়া যায় না। চ্যাম্পিয়নশিপে কোনও রাশিয়ান খেলোয়াড়ের সাফল্য থেকে সে দেশের সরকার সুবিধা পেলে সেটা ঠিক হবে না।” এপ্রিলের শুরুতেই অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, রাশিয়া এবং বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়রা উইম্বলডনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করবে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। উল্লেখ্য, ২৭শে জুন থেকে ১০ই জুলাই পর্যন্ত হবে উইম্বলডন।
উল্লেখ্য, মূলত বরিস জনসন সরকার অনুমতি না দেওয়ায় এ বছর উইম্বলডন খেলা হবে না বিশ্বের দু’নম্বর টেনিস খেলোয়াড় দানিল মেদভেদেভ, অষ্টম বাছাই আন্দ্রে রুবলেভদের। খেলতে পারবেন না ডব্লুটিএ ক্রমতালিকার ১৫তম স্থানে থাকা মহিলা খেলোয়াড় আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভাও। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সাহায্য করার জন্য বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়দেরও দেশে ঢুকতে দিতে রাজি নয় ব্রিটিশ সরকার। কিছু দিন আগেই ব্রিটিশ ক্রীড়ামন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টোন বলেছেন, “লন্ডনের মাটিতে রাশিয়ার কোনও খেলোয়াড় উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হবে এবং সেখানে রাশিয়ার পতাকা উড়বে, এটা আমাদের জন্য মোটেও স্বস্তির বিষয় হবে না।”
প্রসঙ্গত, উইম্বলডনের আয়োজকরা আগেই এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার অনুমতি দিতে রাজি নয় বলেই সূত্রের খবর। রাশিয়া নিয়ে সুর নরম করতে রাজি নয় জনসন প্রশাসন। আগেই সমস্ত ধরনের দলগত প্রতিযোগিতায় রাশিয়া এবং বেলারুশকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব টেনিসের নিয়ামক সংস্থা। তবে দেশের নাম এবং পতাকা ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন দু’দেশের খেলোয়াড়রা।