সম্প্রতি কালীঘাট মন্দিরে পুজো গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই স্কাইওয়াক নির্মাণ কাজ নিয়ে পুরসভাকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তড়িঘড়ি কাজে নামল পুরসভা। পুর প্রশাসন সূত্রে খবর, স্কাইওয়াকের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থেকে হকারদের ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও গত কয়েকমাসে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় কাজ এগোচ্ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ফের জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। কাজ শুরুর ক্ষেত্রে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে ২৬শে এপ্রিল যৌথ পরিদর্শন হওয়ার কথা। সমীক্ষক সংস্থা ও এই কাজের বরাত পাওয়া সংস্থার সঙ্গে পরিদর্শনে যাবে কলকাতা পুরসভা। স্কাইওয়াক তৈরি করতে জমি খালি হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন এবং মন্দির যাওয়ার রাস্তা থেকে হকারদের সরিয়ে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, জমি খালি করা গেলেও কাজের বরাত পাওয়া সংস্থা এখনও পর্যন্ত পাইলিংয়ের অনুমতি পায়নি। ওখানে একাধিক পুরনো বাড়ি রয়েছে। এর পাশাপাশি মাটির তলা দিয়ে পুরসভার নিকাশি এবং জলের পাইপলাইন গিয়েছে। ফলে কাজ শুরুর আগে জরিপের কাজ ঠিকমতো না হলে সমস্যা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এছাড়া পুরসভার অন্দরে কিছু প্রশাসনিক জটিলতাও দেখা দিয়েছিল। এইসব কারণে গত কয়েকমাস মূল কাজে হাত দেওয়া যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। মঙ্গলবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন রাসবিহারীর বিধায়ক তথা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার সহ পুর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য বিভাগের আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি, স্কাইওয়াকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে নিয়ে বুধবার পুরসভায় বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ। সেই বৈঠকে যৌথ পরিদর্শনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।