মেডিকেল কলেজের অসাধ্য সাধন করার নজির নেহাত কম নয়। বড় বড় অপারেশন থেকে শুরু অনেক বিরল রোগের সমাধান করেছেন চিকিৎসকরা। ফের আবারও তেমনই অসাধ্য সাধন করলেন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা। ৫ বছর বয়সি এক শিশুর পায়ের হাড় কেটে হাতে জুড়ে দিলেন তাঁরা। এতে শিশুটির প্রায় অসাড় হাত ফের সবল হয়ে উঠেছে। সেই হাত দিয়ে এখন দিব্যি কাজও করতে পারছে শিশুটি।
হাওড়ার বাসিন্দা রিয়াজুল শেখ মোল্লা। তাঁরই একরত্তি ছেলে মিরাজুল, যার বাঁ হাতের হাড়ে হয়েছিল জটিল সংক্রমণ। একের পর এক হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন রিয়াজুল, কিন্তু কোথাও কাজের কাজ হয়নি কিছুই। কলকাতার পিজি হাসপাতালে মিরাজুলের হাতের সংক্রমিত অংশ কেটে বাদ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতে আবার হিতে বিপরীত হয়। হাত প্রায় অসাড় হয়ে যায় ছোট্ট মিরাজুলের।
এরপরই কামাল করেন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা। সেখানকার অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক হিরণ্ময় দেব এবং সৈকত সাঁউয়ের অধীনে অপারেশন হয়। শিশুটির পায়ের ফিবুলা হাড় কেটে হাতে জুড়ে দেন তাঁরা। খুদের বাবা বলছেন, এখন আমার ছেলছ দিব্যি বাঁ হাতে দু’লিটারের জলের বোতল তুলতে পারছে।
ডাক্তারদের অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন রিয়াজুল। আমাদের পায়ের হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত দু-জোড়া হাড় থেকে। টিবিয়া ফিবুলা। মূল হাড় টিবিয়ার টিক পাশেই রয়েছে ফিবুলা। শরীরের প্রয়োজনে সেখান থেকে হাড় ব্যবহার করে চিকিৎসা করাই যায়, হাওড়ার একরত্তির ক্ষেত্রেও তাই করেছেন ডাক্তারবাবুরা।