২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে তাঁর নেতৃত্বেই সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। যদিও পরবর্তীতে ২৩ জন বিধায়ক নয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগের জেরে আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে বিরোধী আসনে বসতে হয় কমলনাথকে। তবে ফের কমলনাথের নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে ভোট ময়দানে নামতে চলেছে কংগ্রেস। এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কমলনাথের বাসভবনে গত সোমবার দীর্ঘ চার ঘণ্টার বৈঠকও হয়।
এর আগে কমলনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দিল্লীতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা অজয় সিং ও অরুণণ যাদব। এই আবহে নেতৃত্ব বদল নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরেই। তবে এই বিতর্কের মাঝেই রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিং, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কংগ্রেস বিধায়ক গোবিন্দ সিং, জিতু পাটোয়ারিরা কমলনাথকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁর নেতৃত্বেই ২০২৩ সালের নির্বাচন লড়বে দল। তাঁরা সবাই একবাক্যে জানান, প্রতিটি নেতা আগামী বছর কংগ্রেস সরকার গঠন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এই বিষয়ে কংগ্রেস বিধায়ক গোবিন্দ সিং বলেন, ‘দলের নেতাদের মধ্যে কোনও ফাটল নেই। এই সব জল্পনা ভুয়ো। আমরা কমলনাথজিকে আশ্বস্ত করেছি যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ এবং ২০২৩ সালের নির্বাচনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।’ জিতু পাটোয়ারি বলেন, ‘কংগ্রেস নেতারা শিবরাজ সিং সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি, কৃষকদের দুর্দশা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা তুলে ধরে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন লড়বেন। কমলনাথজির নেতৃত্বে রাজ্যের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উত্থাপন করে আন্দোলনের জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।’