জনপ্রতিনিধি অথচ সানাই বাদক। ২০২২সালের পুরসভা ভোটে বীরভূমের সাইথিয়া ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয়ী কাউন্সিলর সুভাষ বাদ্যকর। একদিকে জনসেবা অন্যদিকে তিনি অনড় নিজের বংশ পরম্পরার পেশায়। দাদুর আমল থেকে চলে আসছে এই পেশা, সানাই বাজানো। তারপর থেকেই চলছে পরম্পরা। তবে এই পেশার শুরু দাদু অরুণ বাদ্যকরের হাত ধরে। তারপর তা পরম্পরা অনুযায়ী বয়ে নিয়ে যান সুভাষ বাদ্যকরের বাবা শ্যামাপদ বাদ্যকর।
কিন্তু সুভাষ বাদ্যকরের এইu পেশায় আসা ১৯৯২ সালে তাঁর মা মারা যাওয়ার পর। চার ভাইবোন। বাড়ির বড়ো ছেলে হওয়ায় দায়িত্ব এসে পৌঁছয় সুভাষের ওপর। তবে ছোট্ট থেকেই বাবার সানাই বাজানো দেখে ভালোলাগতো তাঁর। তারপর দায়িত্ব আসতেই ১৯৯৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এই সানাই বাজানোকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। ভালো সানাই বাজাতে পারায় বেশ খ্যাতিও রয়েছে তার এলাকায়।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান, “আগে আমরা সুভাষ দার সানাই বাজানো শুনতাম তবে এখন তিনি আমাদের পাড়ার কাউন্সিলর। খুব ভালোলাগছে আমাদের পাড়ার কাউন্সিলর হিসেবে ওনাকে পেয়ে।” বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত জানিয়েছেন এই ধরনের মানুষদের সঙ্গে তাঁর কাজ করতে ভালো লাগবে কারন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সমস্যা জেনে সমস্যার সমাধান হবে। এই ধরনের কাউন্সিলর মাঠে নেমে কাজ করবে সাধারন মানুষের জন্য।
সুভাষ বাদ্যকর বলেন, “আমার দাদুর থেকে চলে আসছে সানাই বাজানো। সেই পরম্পরা অনুযায়ী আমিও পেশা হিসেবে বেছেনি এটাকেই। কংগ্রেস নেতা নিহার দত্তের হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে আসা। তিনি আমায় সাহস দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি মারা যাওয়ায় আমি কিছুটা সরে আসি রাজনীতি থেকে।
সেই সময় তাঁর বড়ো ছেলে বিপ্লব দত্ত আমায় বলেন, তুমি আমার বাবার সাথে কংগ্রেসে ছিলে, এখন আমার সাথে তৃণমূলে থাকবে। সেই থেকে ২০০৭ সালে আমার আবার ফিরে আসা রাজনীতিতে। তারপর থেকেই তৃণমূলে থেকেই কাজ করছি মানুষের জন্য। তবে বর্তমানে সাইথিয়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কাউন্সিলর আমি। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যেমন মানুষের জন্য কাজ করবো ঠিক তেমনই আমি চালিয়ে যাবো আমার পেশা সানাই বাজানো।”