আর ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই। রাত পোহালেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। তাই ফল প্রকাশের আগেই ‘হর্স ট্রেডিং’ রুখতে রাজ্যে রাজ্যে ছুটছেন কংগ্রেস নেতারা। প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়ে বিজেপি গোয়া, মণিপুরে সরকার গড়ে ফেলেছিল। তখন কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, বিজেপি টাকা ছড়িয়ে ছোট ছোট দলের বিধায়কদের সমর্থন আদায় করেছে। এবার বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস হাই কমান্ড তাই ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই কর্ণাটক, ছত্তীসগঢ় থেকে ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের গোয়া, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্ণাটক থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে গোয়ায়, ছত্তীসগঢ় থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে উত্তরাখণ্ডে এবং ছত্তীসগঢ়ের মন্ত্রী টি এস সিংহদেও-কে মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে।
পাঁচ বিধানসভা রাজ্যের ভোটের আগেই কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল, গোয়া, মণিপুরের মতো ছোট রাজ্যের বিধায়কদের যাতে বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে না পারে, তার জন্য বিধায়কদের দুই কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। গতকাল প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা রাজস্থানে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের দলের রণনীতি নিয়ে কথা হয়। উত্তরাখণ্ডে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে সে রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়কদেরও রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। বাঘেলের সঙ্গে হরিয়ানার দীপেন্দ্র সিংহ হুডা এবং ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রীদেরও উত্তরাখণ্ডে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই এআইসিসি-র নেতাদের সঙ্গে দেরাদুনে উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস প্রার্থীদের বৈঠকও হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্র বলছে, হাই কমান্ড কোনও ভাবেই গোয়া হাতছাড়া করতে রাজি নয়। সে কারণে কর্ণাটকে বহু ঘোড়া কেনাবেচা সামলানো নেতা ডি কে শিবকুমারকে গোয়ায় পাঠানো হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে ওই রাজ্যের আরও দুই নেতা থাকবেন। গোয়ায় নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পি চিদম্বরমও গোয়ায় ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে, অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা মণিপুরে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দিলেও কংগ্রেস মনে করছে, এনপিপি, এনপিএফ-এর মতো ছোট দলগুলি খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। ছত্তীসগঢ়ের মন্ত্রী সিংহদেওর সঙ্গে মেঘালয় থেকে ভিনসেন্ট পালা ও দিল্লী থেকে মুকুল ওয়াসনিককে পাঠানো হয়েছে ইম্ফলে। আবার, পাঞ্জাবে বুথ ফেরত সমীক্ষা আপ-এর জয়ের ইঙ্গিত দিলেও কংগ্রেস এখনও আশা ছাড়ছে না। দিল্লী থেকে অজয় মাকেন ও পবন খেরাকে সে রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে।