উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগেই আগামী দিনে রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ আনা অন্যতম লক্ষ্য হতে চলেছে তা জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পে বিনিয়োগ আনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের অন্যতম টার্গেট হতে চলেছে তাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফরকালেই ‘উত্তরবঙ্গ শিল্প সামিট’ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
বুধবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই শিল্প সামিট হতে চলেছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। কলকাতা থেকে আটজন সচিব যাচ্ছেন শিলিগুড়িতে। শুধু তাই নয় শিল্পপতি ও বণিকসভা গুলির সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমেও উত্তরবঙ্গের আট জেলাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। মূলত দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে বুধবারের শিল্প সামিটে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ফুড প্রসেসিং, অ্যানিম্যাল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, গ্রামীণ অঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে কিভাবে বিনিয়োগ হতে পারে তার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায় পর্যটন এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে কোন কোন জায়গায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বা রাজ্য কি ভাবছে তাও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং টেক্সটাইলস, পাশাপাশি শিল্প পরিকাঠামো এবং জমি নিয়ে রাজ্য কি ভাবছে সেই বিষয়গুলিও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। এই পাওয়ারপয়েন্ট প্রেসেন্টেশনগুলি শিল্পপতি ও বণিক সভার সামনে রাখবে বিভিন্ন দফতরের সচিবরা।
আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল কলকাতায় ‘বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলন’ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই তার জন্য বিভিন্ন জেলায় জেলায় বণিকসভা দের নিয়ে বৈঠক করেছে রাজ্য। বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলন নিয়ে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে নবান্ন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাজপুর পোর্ট নিয়ে বৈঠকে করেছেন গৌতম আদানির ছেলে করন আদানি। মুখ্যমন্ত্রী আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদনিকেও বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলনে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলনের আগে উত্তরবঙ্গে শিল্পে বিনিয়োগ আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। ফলে সব দিক থেকেই এই শিল্প সামিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।