সোমবারই তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির জয়ী কাউন্সিলারদের সঙ্গে ফটোসেশন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশও দেন নবনির্বাচিত কাউন্সিলারদের। মমতা বলেন, ‘মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। বেশি চাহিদা করা যাবে না। আমি নিজে পুরবোর্ডের মনিটরিং করব’।
এদিন উত্তরকন্যায় গৌতম দেবকে পাশে নিয়ে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে ফটোসেশনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বেশী চাহিদা না থাকে। সর্ব স্তরের,সর্ব ধর্মের প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে চলতে হবে। তাদের জন্য কাজ করতে হবে। কোনও ভাবেই বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না’। কলকাতার মতো শিলিগুড়িতেও যে কাজ করা হবে তা নজরে রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটি কমিটি তৈরি করা হবে। আমি সেই কমিটিতে নিজে মনিটরিং করব’।
আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরনিগমের ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল। এরমধ্যে ঘাসফুল শিবিরকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে শিলিগুড়ি জয়। কারণ ২০১১-র পরবর্তী সময়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও উত্তরবঙ্গের এই পুরনিগম দখল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর কৌশলে শিলিগুড়ি পুরনিগম এতদিন তৃণমূলের গলার কাঁটা হয়েছিল। প্রায় তিন দশকের চেষ্টার পর এবারই প্রথম শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল।সেদিন বিকেলেই সেখানে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মমতা চলে যান শিলিগুড়ি নৌকাঘাট মোড়ে। পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। সেখান থেকেই শিলিগুড়িবাসীকে ধন্যবাদ জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিটা মানুষের সমর্থন পেলাম। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা’।