শিলিগুড়ি পুরনিগমে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মমতা উত্তরকন্যা ভবনে জয়ী কাউন্সেলরদের সঙ্গে দেখা করেন। কী বললেন, মুখ্যমন্ত্রী, মূলত তিনি মন দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার কথা বললেন জয়ী কাউন্সেলরদের। সোমবারই রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের ফল প্রকাশিত হয়। শিলিগুড়িতে একক ক্ষমতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল। বিকেলে সভা থেকে মমতা বলেন, ঝাঁ-চকচকে শহর হিসাবে শিলিগুড়িকে গড়ে তুলতে হবে, কমাতে হবে যানজট। মঙ্গলবার সেই কথাই তিনি মনে করিয়ে দিলেন জয়ী কাউন্সেলরদের।
মঙ্গলবার তিনি কাউন্সেলরদের বলেন, দল-মত নির্বিশেষ সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে কাউন্সেলরদের। এই কাজের নির্দিষ্ট একটি মনিটরিং কমিটি তৈরি করা হবে, তিনি নিজেও এই কাজের দিকে নজর রাখবেন। সব মিলিয়ে উন্নয়নের রাস্তা বন্ধ করলে চলবে না। মানুষ যে রায় দিয়েছেন, সেই রায় মাথায় নিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে জয়ীদের। যাতে উন্নততর শিলিগুড়ি তৈরি করা যায়, সে দিকে নজর দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সোমবারের ফলেই প্রকাশিত হয়েছে, উত্তরবঙ্গে বিজেপি-র প্রভাব কাটিয়ে কার্যত একচ্ছত্র ক্ষমতা দখলের পথে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। আগের ভোটের সব হিসাব পাল্টে এ বারের পুরভোটে জয় পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি রাজনৈতিক বৃত্ত সম্পূর্ণ করে জিতেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক গৌতম দেবও। মমতাই সোমবার ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে গৌতম দেবই হচ্ছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের চেয়ারম্যান। সব মিলিয়ে এখন উত্তরের উন্নয়নে জোর দিতেই নতুন করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে বার্তা দিয়েছন মমতা।
মমতা নিজে মিটিংয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন বিশেষ মনিটারিং সেল গড়ার। তিনি বলেন, কে, কেমন কাজ করছে তার উপর নজর রাখতেই এই সেল তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি নিজেও এটার দিকে নজর রাখবেন বলেও বলেছেন। উত্তরকন্যায় এ দিন জয়ী কাউন্সেলরদের নিয়ে একটি ফোটো সেশনও করেন মমতা। এই বৈঠকের পরেই রয়েছে আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের একটি বৈঠক। কাউন্সেলরদের বৈঠক সেরে মমতা সেটিতে যোগ দেন। উল্লেখ্য, সেই বৈঠকে রয়েছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।