চলতি আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা মোটেই ভাল নয়। তারা ১৫টি ম্যাচ খেলে একটি মাত্র ম্যাচে জয় পেয়েছে, না হলে ড্র ও হারই সঙ্গী লাল হলুদ বাহিনীর। দলের খেলা থাকলে আতঙ্কে থাকছেন সদস্য-সমর্থকরা, আবারও না লজ্জার মুখে পড়তে হয়, সেই নিয়ে একটা চাপা আশঙ্কা থাকছে।
লিগে সম্মানজনক স্থানে শেষ করেছে দল। কিন্তু আইএসএলে গত দু’বছরই পারফরম্যান্স হতশ্রী, দল খেলতে নামছে হার বাঁচানোর লক্ষ্যে, এটা ইস্টবেঙ্গল দলের ক্ষেত্রে মানা যায় না। তাই আমরা এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য ক্লাবের পাশে থাকতে চাই। তারা যদি মনে করে আমরা দলগঠনে পরামর্শও দিতে পারি।
গত ১৫ জানুয়ারি দলের এহেন পারফরম্যান্স কেন, সেই নিয়ে একটা চিঠি দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলাররা। সেই চিঠির কোনও জবাব আসেনি, তাই ওই ১১ প্রাক্তন এবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে তাঁদের আগামী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করলেন।
ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনদের ওই কমিটির মুখপাত্র নামী মিডফিল্ডার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা দলের প্রাক্তন ফুটবলাররা সবাই ক্লাবের পাশে থাকতে চাই, এটা কোনও বিদ্রোহ নেই, কৈফিয়ত চাওয়া নয়, এটি একটি আবেদন, যাতে করে ক্লাব দলের এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে দেখুক।
একই কথা বলেছেন আরও এক প্রাক্তন তারকা মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তিনি বলেছেন, ‘‘আইএসএলে দলের এমন অবস্থা কেন, সেই নিয়ে আমরা এর আগেও জানতে চেয়েছি, কিন্তু কোনও জবাব পাইনি।
গত দু’বছর ধরে দলের এমন বিপর্যয়, তারপরেও মুখ বুজে থাকা সম্ভব নয়।’’ প্রসঙ্গত, প্রশান্ত, মনোরঞ্জন ছাড়াও ওই কমিটিতে রয়েছেন অতনু ভট্টাচার্য, অলোক মুখোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, কৃষ্ণেন্দু রায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মিহির বসু, সুমিত মুখোপাধ্যায় ও রহিম নবি।
ময়দানের একাংশের অভিমত, ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা ইচ্ছেতেই ওই প্রাক্তনরা এমন কথা বলেছেন। কারণ তাতে করে দলের বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের ওপর চাপ বাড়ানো যাবে।
আরও একটি প্রশ্নও উঠেছে সমানভাবে। এর আগে ইস্টবেঙ্গল আই লিগ জেতেনি ১৭ বছরে, তারপর আই লিগ থেকে আইএসএলে খেলতে আসে লাল হলুদ। সেইসময় ওই কমিটি কেন সোচ্চার হয়নি, সেই নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রাক্তনরা সমস্বরে জানিয়েছেন, আই লিগ না জিতলেও রানাস আর্প হয়েছে একাধিকবার।