এবার বিয়ের তত্ত্বে ফুটে উঠল সরকারি প্রকল্প এমনটাই করে দেখিয়েছেন নদীয়ার এক তৃণমূল নেত্রী। ছেলের হবু বউয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন সরকারি প্রকল্প নামাঙ্কিত তত্ত্ব। বুধবার অর্থাৎ ২রা ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন প্রবীর চক্রবর্তী এবং কৃষ্ণনগরের ইশিতা। প্রবীর যুব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নদীয়ার যুব তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য তিনি। তাঁর মা মণিকা চক্রবর্তী নবদ্বীপ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর। আবার শহর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রীও বটে। ২৭ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। চক্রবর্তী পরিবারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রাজনীতি।
উল্লেখ্য, বিয়েরআগেই কনের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিটি ডালা সেজে উঠেছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে। তিনি কোনও ডালার নাম দিয়েছেন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী তো কোনটির নাম দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, শিশুসাথী। নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য মিলিয়ে সাজানো হয়েছে তত্ত্বের ডালা। কন্যাশ্রী নামাঙ্কিত ডালায় রয়েছে বিভিন্ন সাজগোজের সামগ্রী। রূপশ্রী ডালায় রয়েছে কনের সাজের সরঞ্জাম, সিঁদুর, আলতা। সবুজ সাথীর সাইকেলের মতোই তত্ত্বে রয়েছে সাইকেল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক ডালায় রয়েছে সিঁদুর, লক্ষ্মীর মূর্তি, তৃণমূলের প্রতীক এবং ৫০০ টাকা। আবার স্বাস্থ্যসাথীতে রয়েছেন সাবান, স্যানিটাইজার, তুলো ও বিভিন্ন ওষুধ। অভিনব তত্ত্ব প্রসঙ্গে মণিকা চক্রবর্তী বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রেরণা। সুখে-দুঃখে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। ওঁর এধরনের প্রকল্পে সকলে সুবিধা পাচ্ছেন। তাই এমন আনন্দের দিনে তাঁর প্রকল্প সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।”