সামনেই মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন। তারই পূর্বলগ্নে ঘোর অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলের অস্তিত্বই সংকটের কবলে। ভোটে প্রার্থী হতে না পেরে টিকিট না পাওয়া বিজেপির নেতারা একে একে দল ছাড়ছেন। বেশিরভাগই নাম লেখাতে চাইছেন কংগ্রেসে। কংগ্রেস টিকিট না দিলে যে দল তাঁদের প্রার্থী করবে, সেখানেই যোগ দিতে আগ্রহী দলত্যাগী বিজেপি নেতারা। মোইরাং বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি বিধায়ক পি শরৎচন্দ্র সিং তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেকমাই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন মন্ত্রী নিংথৌজাম বীরেন এবং নিংথৌজাম জয়কুমার সিংও যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা দাবি করেছেন, আরও অন্তত বারোজন বিজেপি নেতা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিজেপি মণিপুরে ৬০টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। তারপরেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সমর্থকরা বেশ কিছু জায়গায় দলীয় পতাকা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের কুশপুত্তলিকা জ্বালায়। কয়েক জায়গায় দলের দফতরও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু বিক্ষোভেই ক্ষান্ত হননি বিক্ষুব্ধ এই বিজেপি নেতারা, তাঁরা এবার দলও ছাড়া শুরু করেছেন। বিগত ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মণিপুরে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল কংগ্রেসই। সংখ্যাগরিষ্ঠতার খুব কাছে পৌঁছেও সরকার গড়তে পারেনি হাত শিবির। ঘুরপথে সরকার গড়ে বিজেপি। কংগ্রেসের বহু নেতা, বিধায়ক যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সেইসব নেতাদের এবার প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্য দল থেকে আগত এই নেতাদের তালিকার ১৬ জনের মধ্যে দশজন কংগ্রেসের, আর চার জন অন্যান্য আঞ্চলিক দল থেকে আসা। মূলত এই নিয়েই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই দু’দফায় ৫০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস।