মিলল না কোনো সুরাহাসূত্র। এবছরের বাজেটেও কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে কোনও ঘোষণাই করল না মোদী সরকার। ফলত হতাশ দেশের ৬৫ লক্ষেরও কিছু বেশি ইপিএফ পেনশন গ্রাহক। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সংসদে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেট ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, “এই মুহূর্তে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে কেন্দ্র সরকার তার কর্মচারীদের জন্য তাঁদের বেতনের ১৪ শতাংশ প্রদেয় অর্থ হিসেবে জমা দেয়। এটি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর কর ছাড়ের পরিমাণ কত হবে, তার নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে এমপ্লয়ার্স কন্ট্রিবিউশনের হার ১০ শতাংশ। এই হার সমান করার জন্যই এনপিএসে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি সকল কর্মচারীর জন্যই এমপ্লয়ার্স কন্ট্রিবিউশনের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হচ্ছে। এর ফলে এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতোই রাজ্য সরকারি কর্মীরাও এনপিসের ক্ষেত্রে একইরকম সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পাবেন।”
উল্লেখ্য, ইপিএফ পেনশন গ্রাহকদের একটি বড় অংশ আশা করেছিল যে এবারের বাজেটে এই ইস্যুতে কোনও নির্দিষ্ট ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। কিন্তু তা আদতে হয়নি। এই মুহূর্তে একজন ইপিএফ পেনশন গ্রাহক প্রতি মাসে ন্যূনতম এক হাজার টাকা করে পেনশন পান। ইতিমধ্যেই এই পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারে শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন মালিক পক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তৈরি হয়েছে অ্যাড হক কমিটিও। এবারের বাজেটে তারই প্রতিফলন দেখা যেতে পারে বলে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। এবার বাজেটে শ্রমমন্ত্রকের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ১৬ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইপিএফ পেনশন খাতে কেন বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা গেল না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।