বেআইনি শরণার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল আসামের কাছাড় জেলার বাসিন্দা শেফালি রানি দাসকে। কারণ, ফরেন ট্রাইবুনালের শুনানিতে হাজির হননি তাঁর আইনজীবী। তবে হাল ছাড়েননি শেফালিদেবী। ট্রাইবুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুয়াহাটি হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। আদালতে মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত ফিরে পেলেন নাগরিকত্ব। জানা গিয়েছে, লেখি দাসের মেয়ে শেফালির বাড়ি কাছাড় জেলার সোনাইয়ের মোহনখালে। ২০১৫ সালে তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে মামলা দায়ের হয়। নির্দিষ্ট দিনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তাঁকে হাজির হতে বলে আদালত। সেইমতো পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি।
এরপর সহায়তার জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছিলেন শেফালিদেবী। কিন্তু, শুনানির দিন তিনি হাজির হননি। পরে একাধিকবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। এর ফলে ২০১৭ সালে ১৯শে সেপ্টেম্বর কাছাড়ের ওই বাঙালি মহিলাকে অবৈধ শরণার্থী ঘোষণা করা হয়। গত বছর ট্রাইবুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুয়াহাটি হাইকোর্টে মামলা করেন শেফালি। বিচারপতি সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। ১৭ই জানুয়ারি নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে শেফালিকে ভারতীয় বলে ঘোষণা করেন ট্রাইবুনালের সদস্য (বিচারক) ধর্মানন্দ দেব।