ইহজগৎ ত্যাগ করল ‘কলারওয়ালি’। ১৬ বছর বয়সে থামল তার লড়াই। রেখে গেল ২৯টি সন্তান। হিন্দুমতেই সৎকার করা হল তার। কে ‘কলারওয়ালি’? মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ রিসার্ভের কিংবদন্তি বাঘিনী। তার গলায় কলার বাঁধা ছিল বলে পর্যটকরা তাকে নাম দিয়েছিল কলারওয়ালি। তাকে ডাকা হত সুপার মম বলেও। কারণ সারা ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক শাবকের জন্ম দিয়ে নজির গড়েছিল এই বাঘিনী। কেউ আবার তাকে মাতারাণীও বলত। বন দফতরের কাছে সে পরিচিত ছিল টি-১৫ নামে।
বিগত ২০০৮ সালের মে মাসে প্রথম তিনটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল এই বাঘিনী। যদিও জন্মের ২৪ দিন পর তিনটি বাঘের শাবকই মারা যায়। এর পর অক্টোবরে ফের গর্ভবতী হয় সে। এরপর একে একে ২৯ টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। সাধারণত বাঘ ১২ বছরের বেশি বাঁচে না। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রমী কলারওয়ালি। টানা ১৬ বছর নিজের সন্তানদের নিয়ে পেঞ্চের কোর এরিয়ায় কাটিয়েছে সে। যদিও মৃত্যুর সময় একেবারেই একা হয়ে পড়েছিল কলারওয়ালি।
এপ্রসঙ্গে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষবার ১৪ই জানুয়ারি এই বাঘিনীকে দেখা গিয়েছিল রিজার্ভের একটি নালার কাছে। বয়সের কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। চলতে পারছিল না। প্রায় ২ ঘন্টা একাই পড়েছিল সেখানে। এরপরেই বন দপ্তরের আধিকারিকরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। শনিবার সন্ধ্যে ৬.১৫ নাগাদ মৃত্যু হয় তার। কলারওয়ালির সৎকার মৃত্যুর পর তার সৎকার করা হয় হিন্দুমতে। কাঠ দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয় কলারওয়ালির চিতা। ফুল, মালা দেওয়া হয়। শেষকৃত্যের আগে তাকে মালা পরিয়ে দেন স্থানীয়রা।