করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। এই আবহে চার দিন আগেই শরদ পাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে ১৩ জন বিজেপি বিধায়ক সমাজবাদী পার্টি (সপা)-তে যোগ দিতে চলেছেন। তখন সবেমাত্র স্বামীপ্রসাদ মৌর্য বিজেপি ছাড়ার কথা বলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই মহারাষ্ট্রে বসে পাওয়ারের দেওয়া ওই পূর্বাভাসকে কেউই তখন আমল দেননি তেমন। এখন পওয়ারের ভবিষ্যদ্বাণী প্রায় মিলে যাওয়ায় রাজনীতির জগতে প্রশ্ন উঠেছে, পাওয়ার এ সব কথা আগে থেকে জানলেন কী ভাবে?
এনসিপি সূত্র বলছে, দলের সভাপতি পাওয়ার নিয়মিত সপা প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। তার ফলেই আগেভাগে বিজেপির লোকসানের পূর্বাভাস দিতে পারছেন পাওয়ার। তিনি চাইছেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রয়োজনে ভোটের পরে সব দল নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে এককাট্টা হোক। সে ক্ষেত্রে সব দলই অল্পবিস্তর ভাগ পাবে ক্ষমতার। কার ভাগ্যে কী জুটবে, তা পরে ঠিক করে নেওয়া যাবে। কিন্তু আগে বিজেপিকে হটানো দরকার। কংগ্রেস যে পওয়ারের এই সূত্র মানতে রাজি, তার ইঙ্গিত দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেছিলেন, প্রয়োজনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভোটের পরে তাঁরা অন্য দলকে সমর্থন করবেন।
ইঙ্গিত ছিল, সপার দিকেই। তাদের তরফেও ইতিবাচক বার্তা মিলেছে। ইঙ্গিত মিলেছে, উন্নাওয়ের কংগ্রেস প্রার্থী, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতার মা আশা সিংহর বিরুদ্ধে সপা প্রার্থী দেবে না। উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে সব দলকে এককাট্টা করার নীতি নিয়েই মহারাষ্ট্রে বিপরীত মেরুতে থাকা কংগ্রেস ও শিবসেনাকে এককাট্টা করে মহা বিকাশ আঘাড়ী জোট সরকার তৈরি করেছিলেন পওয়ার। তিনি প্রথম থেকেই বলছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি সব দলকে এককাট্টা করতে সচেষ্ট হবেন। গোয়াতেও মহারাষ্ট্রের মতো কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা জোট করে ভোটে যেতে চাইছেন। এনসিপি সূত্রের মতে, বিজেপিতে টিকিট পাওয়া যাবে না দেখলে গোয়ার মতো উত্তরপ্রদেশেও অনেকে দল ছাড়বেন। তাঁরা শিবসেনা, এনসিপিতে এসে প্রার্থী হতে পারেন। এক কালে গোয়ায় বাল ঠাকরের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল। সেটাও শিবসেনা কাজে লাগাতে পারে।