দেশজুড়ে যেখানে চিনাপণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে, সেই সময় এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা প্রকাশ করেছে সে দেশের শুল্ক দফতর। শুল্ক দফতরের রিপোর্ট বলছে, ভারতে চিনা পন্যের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব থেকে বেশি চাহিদা চিনে তৈরি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, গাড়ির যন্ত্রাংশ, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ঔষধি তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামালের। এমনকী চিনে তৈরি পিপিই-কিটের চাহিদা গত এক বছরে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রি বেড়েছ চিনা ল্যাপটপ এবং বাড়ির কাজে ব্যবহৃত পণ্য সামগ্রীর। ২০২০-য়ের তুলনায় গত বছর এই সব পণ্যের চাহিদা এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ শতাংশ ।
চিনের শুল্ক দফতর জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ওই দেশ থেকে ভারত যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে, তা ২০১৯ কে ছাপিয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০-তে চিনের থেকে ভারত ৮৭.৬ বিলিয়ন ডলার মূ্ল্যের পণ্য আমদানি করে, ১৯-য়ের তুলনায় যা সামান্য কম। তার আগের বছর ২০১৯-য়ে চিন থেকে ভারত ৯২.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছিল।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে করোনাভাইরাস অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ওই সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা মারাত্মক আকারে বেড়ে গিয়েছিল। যার ফলে ভারত কার্যত চিনমুখী হয়ে ওঠে। একই পণ্য অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হলে চড়া হারে শুল্ক দিতে হত। চিন থেকে আমদানির ফলে শুল্ক তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।