রাজ্য ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কলেজ সার্ভিস কমিশনকে সরকার নিয়ন্ত্রিত কলেজগুলির শিক্ষাকর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আইন তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই আইন তৈরি হলেও বাস্তবে কার্যকর হচ্ছিল না। অবশেষে ১০ বছর পর তৃণমূল সরকারের তৃতীয় দফায় সেই আইন কার্যকরী হতে চলেছে। এবার রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রিত কলেজগুলিতে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের দায়িত্ব পেল কলেজ সার্ভিস কমিশন। ১ ফেব্রয়ারি থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে কলেজ সার্ভিস কমিশনের আইন সংশোধন করে জানিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।
প্রসঙ্গত, এতদিন বিভিন্ন কলেজগুলি নিজেদের মতো করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করত। ফলে নানা ধরনের স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠে আসত। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয় নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠক করেন। তারপর শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশেই এই আইনকে দ্রুত কার্যকর করার কথা বলা হয়। শেষমেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই আইন কার্যকরী হচ্ছে। তবে শুধু আইন কার্যকরী নয়, কলেজে কলেজে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ ও দ্রুত শুরু করবে কলেজ সার্ভিস কমিশন। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে কমিশনকে বলে সূত্রের খবর।
মূলত এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ মারফত আবেদনপত্র নিতে বলা হলেও কলেজ সার্ভিস কমিশন নিজেদের মতো করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেবেন বলেও আইনে বলা হয়েছে। ক্যাটেগরই ভিত্তিক, জোন ভিত্তিক শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে হবে কমিশনকে। কীভাবে নিয়োগ করতে হবে কমিশনকে তার বিস্তারিত বলা হয়েছে আইনে। নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের চেয়ারম্যান একটি এক্সপার্টদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করবেন। এক্সপার্টদের নিয়ে তৈরি করা প্যানেল নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মূলত অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের নিয়োগের ধাঁচেই শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ করতে হবে এমনটাই জানানো হয়েছে আইনে।