রাজ্যে ক্রমশই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তবুও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এবার জনজমায়েতে লাগাম টানতে শহর ও শহরতলির একাধিক বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্থানীয় পুরসভা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর তেমনই রয়েছে ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদমের মতো অঞ্চল।
আজই ব্যারাকপুর পুরসভা সূত্রে খবর মিলেছে যে, সপ্তাহে চারদিন এই এলাকার বাজার বন্ধ রাখা হবে। আগামী দুই সপ্তাহ বা ১৫ দিনের জন্য এই নিয়ম জারি থাকবে। শুক্রবার দুপুরে ব্যারাকপুর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক-সহ একাধিক কর্তারা বৈঠক করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, সপ্তাহে সোম, বুধ এবং শুক্রবার খোলা থাকবে বাজার। সপ্তাহের বাকি চারদিন বন্ধ থাকবে বাজার। তবে ছাড় পাবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ওষুধ, মিষ্টি- সহ একাধিক দোকান। এমনটাই জানিয়েছেন ব্যারাকপুর পুরসভা মুখ্য প্রশাসক উত্তম দাস।
পাশাপাশি, কলকাতাতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে একাধিক আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রোজই বাড়ছে এই সংখ্যাটা। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশও। বাজারগুলিতেও ‘নো মাস্ক, নো সেলে’ জোর দেওয়া হয়েছে। চলছে জীবাণুমুক্তকরণও। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর বাজার। শনি-রবিবার ছাড় দিলেও ফের সোম এবং মঙ্গলবার বাজার বন্ধ রাখা হবে বলে খবর। সংক্রমণ ঠেকাতেই জারি করা হয়েছে এই বিধিনিষেধ।