আতঙ্কের নয়া নাম ওমিক্রন। ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ক্রমশই আরও চওড়া হচ্ছে তার থাবা। দেশের পাশাপাশি মারাত্মক আকার ধারণ করছে কলকাতার করোনা পরিস্থিতিও। বুধবার কলকাতায় পজিটিভিটি রেট ছিল ৩৭.৫৪ শতাংশ। মাত্র ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে কলকাতার কোভিড সংক্রমণ ২০০০ থেকে ৬০০০-এ পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্র তো বটেই, বহু পুলিশ কর্মীও করোনা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীর কাছে একগুচ্ছ অনুরোধ, আর্জি রাখলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সবসময় মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া, এমনকী কেন্দ্রের কাছে সকলের জন্য বুস্টার ডোজ চালু করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
মহানগরীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, যাদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তাঁরাই টেস্ট করাতে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ উপসর্গহীন। তাঁরা কিন্তু টেস্ট করাচ্ছেন না। এই উপসর্গহীনরাই সমস্ত জায়গায় যাচ্ছেন এবং তাঁরাই সুপারস্প্রেডার হিসেবে কাজ করছেন। এবার সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তেমন বেশি নয়। মানুষ সংক্রামিত হচ্ছেন আবার সুস্থও হয়ে উঠছেন। কলকাতার মানুষ যতটা না স্বাস্থ্য সচেতন, তার থেকে অনেক বেশি আনন্দ করতে ভালবাসেন। তাঁরা এইসব সমস্যাকে অত গুরুত্ব দেন না। উৎসবের মরসুম শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা কিন্তু কলকাতার মানুষকে কারণ ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখছি।
তবে ফিরহাদ এ-ও জানিয়েছেন, আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছি। প্রচার, ভ্যাকসিনেশন, স্যানিটাইটেশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় কোভিড বিধি নিয়ে হোডিং লাগিয়েছি, বাজারে মাস্ক ছাড়া বেচাকেনা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অল্পবয়সীদের টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হচ্ছে সকলের জন্য বুস্টার ডোজ চালু করতে। বর্তমানে কলকাতায় ৪৮ কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। প্রতিদিন বিষয়গুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শহরবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, দয়া করে সাবধানে থাকুন, মাস্ক পরুন, এটা মাস্ট। প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোন, কিন্তু অকারণ বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন না।