বাংলায় করোনা-ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে আগেই কার্যকরী পদক্ষেপের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তা নিয়েও রাজনীতির পথে চলল গেরুয়াশিবির। আগামী ২২শে জানুয়ারি চন্দননগর, আসানসোল, বিধাননগর এবং শিলিগুড়িতে পুরভোট । করোনা-ওমিক্রন পরিস্থিতির কথা বলে সেই ভোট পিছনোর দাবি তুলল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট করা কতটা নিরাপদ তা ভেবে দেখা দরকার। অবশ্য, অন্তর্কলহে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি যে একেবারেই নির্বাচন লড়ার মত অবস্থায় নেই, সুকান্তর কথা শুনে তেমনই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
প্রসঙ্গত, আজ গঙ্গাসাগর থেকেই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আভাস দেন, প্রয়োজনে এলাকা ভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হবে । স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে অফিস সব জায়গায় দরকার হলে লোক সংখ্যা কম করা বা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ভাবনা চিন্তার কথাও বলেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রী যে দিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ইতিবাচক চিন্তাভাবনার কথা বলছেন, সে দিনই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে একই ইস্যুতে সাংবাদিক সম্মেলন, বিষয়টির মধ্যে রাজনৈতিক ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
এদিন সুকান্ত মজুমদার এ দিন অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কারণে জমায়েত হচ্ছে । ভোটের প্রচারে নাকি করোনা বিধি বিন্দুমাত্র মানা হয়নি । আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী বিজেপির ভূমিকা নিয়ে। গত বিধানসভা নির্বাচন যখন আট দফায় করার কথা ঘোষণা করেছিল কমিশন, তখন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে শাসক দল তৃণমূল । তারা স্পষ্ট করে, এত দিন ধরে এ ভাবে ভোট হলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে । কিন্তু, তৃণমূলের সেই প্রস্তাবের কোনও গুরুত্ব দেয়নি কমিশন বা কেন্দ্রীয় সরকার । স্বাভাবিক ভাবেই আট দফায় ভোটের পর রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বেশ কিছুটা আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে । যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে শাসকদল। এবার এতগুলো পুরসভার ভোট বকেয়া। যার ফলে এলাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে । সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষেরও। এত সব ভেবেই করোনা বিধিনিষেধকে সামনে রেখে নিয়ম মেনে ভোট করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।