হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্ত্র ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। এর পাশাপাশি, গণহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের অনুরোধ জানিয়েছেন ৭৬ আইনজীবীও। এবার ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র করে তোলার লক্ষ্যে মুসলিমদের হত্যার ডাক দেওয়া হরিদ্বারের সেই সাধুদের দেখা গেল এক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে। রীতিমতো হেসে খেলে কথা বলছেন সকলে। বলছেন, ‘পুলিশ তাঁদের সঙ্গেই আছে’।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১৭ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলা হরিদ্বারের ধর্ম সভার একদল সাধুর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সম্প্রতি। সেখানে দেখা গিয়েছিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ডাক দিচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, মোবাইল না কিনে আগ্নেয়াস্ত্র কেনা উচিত। এখন থেকেই এদেশের মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। তাঁরা এ-ও বলেন যে, ২০৪৩ সালে কোনও মুসলিমকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া যাবে না। নরসিংহান্দ গ্রন্থে নাকি দাবি করা হয়েছে ২০৪৩ সালে ভারতে মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হবে। ভারতে হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাবে। প্রায় শেষ হয়ে যাবে ভারতের হিন্দুদের অস্তিত্ব।
সেই সাধুদের আরও একটি ভিডিয়ো ভাওরাল হয়েছে। সেখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা গেছে এক পুলিশ অফিসারকে। সূত্রের খবর, হরিদ্বারের সেই সাধুদের মধ্যে থেকে পাঁচ জন গতকাল হরিদ্বার থানায় গিয়েছিলেন এফআইআর দায়ের করতে। তাঁদের অভিযোগ কিছু মৌলানা মিলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। যদিও এমন কোনও এফআইআর নেওয়া হয়নি হরিদ্বার থানায়। তবে জানা গিয়েছে ওই থানারই এক পুলিশ অফিসার রাকেশ কাঠাইতের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছিলেন সাধুরা। তাঁদের মধ্যে তিনজনের নাম রয়েছে পুলিশের খাতায়।
নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক সাধু ওই পুলিশ অফিসারকে দেখিয়ে বলছেন, তোমার তো সকলকে বোঝাতে হবে যে তুমি নিরপেক্ষ। তুমি একজন পাবলিক অফিসার। তোমার সবাইকে সমানভাবে দেখা উচিত। এরপরই আরেক সাধু বলে ওঠেন, এ তো আমাদের পক্ষেই রয়েছে। তারপর দেখা যায় সকলে হো হো করে সেহে উঠেছেন। মুসলিমদের মেরে ফেলার কথা বলে লজ্জিত নন ওই সাধুরা। সংবাদমাধ্যমের কাছেই তাঁরা বলেছেন, আমরা যা বলেছি ঠিকই বলেছি। পুলিশকে ভয় পাই না।