মহেশতলায় সম্প্রীতি উড়ালপুরে মর্মান্তির পথ দুর্ঘটনা। বাসের ধাক্কায় এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু। দুর্ঘটনায় আহত আরও চার জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মহম্মদ ফিরোজ (৩৫) তার স্ত্রী নাগমা খাতুন(২৮) ও তাঁদের নাবালক পুত্র ফারদিন খান(১০)। তাঁরা প্রত্যেকে একবালপুরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে বজবজের একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।
তবে প্রশ্ন উঠছে সম্প্রীতি উড়ালপুল যেখানে শুধুমাত্র প্রাইভেট গাড়ি ও বাইক যাতায়াত করে সেখানে একটি রিজার্ভ বাস কীভাবে উঠে গেল ? কারণ বাসটি ওঠার পরেই এই দুর্ঘটনা। আর তাতেই চলে গেল এতগুলি প্রাণ। এর আগেও সম্প্রীতি উড়ালপুলে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। ব্রিজে ওঠার আগেই ট্রাফিক পুলিশ থাকার কথা। কিন্তু পুলিশ থাকার পরও বাসটি কীভাবে ব্রিজে উঠল সেই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, রামপুরের কাছে একটি বাইকে ওভারটেক করার সময় উল্টো দিক থেকে হঠাৎ চলে আসা একটি ট্যুরিস্ট বাসের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থানেই তিনজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি ওই বাইকের পিছনে থাকা পঙ্কজ কুমার মণ্ডল নামে আরও এক বাইক আরোহী গুরুতর আহত হন। পঙ্কজবাবু বাটানগর পোস্ট অফিসে কর্মরত। তাকে আহত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠায়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনায় এক ব্যক্তি জানান, “খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। মহম্মদ ফিরোজ ও তার স্ত্রী আর ছেলে বাইকে করে বিয়ে বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন। বাটার কাছে আসতেই ব্রিজের উপর একটি বাইককে ওভারটেক করতে যায়। সেই সময় উল্টো দিকথেকে একটি বাস চলে আসে। বাসটিকে খেয়াল করে ওঠার আগেই ধাক্কা মারে। সঙ্গে-সঙ্গে সেখান থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় ওদের। বাইকের পিছনে থাকা আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছে।”