নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হিটলারের তুলনা করল তৃণমূল । তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখাপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘হিটলার সংসদ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদী তিলে তিলে বিষিয়ে তুলছেন সংসদকে’।
সকালে তিনি সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধিমূর্তির সামনে রাজ্যসভায় সাসপেন্ডেড অন্য ১২ জন সাংসদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ডেরেক বলেন, ‘কেন্দ্রে গণতন্ত্র হত্যাকারী একটি সরকার চলছে। তারা হাতে ছুরি নিয়ে ঘুরছে। গণতন্ত্রকে টুকরো-টুকরো করছে প্রতিনিয়ত। এর আগে ভারতে এমন কোন সরকার দেখা যায়নি যারা প্রতি দশটি বিলের মধ্যে মাত্র একটি বিল স্ট্যান্ডিং বা সিলেক্ট কমিটিতে বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছে’। আধার ও ভোটার কার্ডের সংযোগকারী ‘নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিল (২০২১)’ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা বলেন, ‘আমি এমন অনেককেই জানি যাঁদের আধার কার্ড নেই বা বৃদ্ধ বয়সে আধারের বায়োমেট্রিক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আধার ভোটার সংযুক্তিকরণ জবরদস্তি করা হলে ভোটার তালিকায় তাদের ঠাঁই হবে কী ভাবে? তা ছাড়া সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই অন্যের হাতে চলে যাওয়ার মতো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে’।
এ দিন সংসদ চত্বরে সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অপর নেতা তথা লোকসভার প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সংসদের অভ্যন্তরে কী হবে সেটা সংবিধানে লেখা নেই। সেটা সংসদের নিয়মাবলীতে লেখা থাকে। সুতরাং প্রস্তাবনার কি মূল্য সেটা বিজেপির লোকেরা বোঝে না। আমরা সংসদের ভেতরেও প্রতিবাদ করেছি। বাইরে ও প্রতিবাদ করেছি। গত অধিবেশনের কোনও ঘটনায় ১২জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে রেখে দিয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের হত্যা’।