এবার খড়গপুরে রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির গড়ল তৃণমূল। বামেদের শ্রমিক সংগঠনের পতাকা খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সে পতাকা উত্তোলন করলেন শাসকদলের নেতারা। এই পদক্ষেপে তৃণমূলের রাজনৈতিক সৌজন্য প্রকাশ পেয়েছে বলে মত বাম শ্রমিক সংগঠনের। সোমবার খড়গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকায় একটি কারখানার বাইরে থেকে সিপিএম এবং সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠনের দু’টি পতাকা নামিয়ে দিয়েছিল বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে খড়গপুর টাউন থানার পাশাপাশি তৃণমূল এবং খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই সংগঠনের নেতারা। তবে সে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শহরে নিজেদের শ্রমিক সংগঠনের পতাকা নামিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বামেদের ওই সংগঠন দু’টির দলীয় পতাকা উত্তোলন করে তৃণমূল। যা দেখে অভিভূত সিপিআই শ্রমিক সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক বিপ্লব ভট্ট। তিনি বলেন, ‘”১৯৫১ সাল থেকে মালঞ্চ এলাকায় ওই কারখানায় আমাদের সংগঠনের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন। সে সময় কারখানার বাইরে আমাদের পতাকা লাগানো হয়েছিল।”
এদিন নিজেদের পতাকা নামিয়ে এনে বাম সংগঠনের পতাকা তোলেন তৃণমূলের নেতারা। এর পর বিপ্লব বলেন, “সৌজন্যের নজির গ়ড়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক সৌজন্য দেখানোয় তৃণমূলের নেতাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।” স্থানীয়দের দাবি, ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকারে আসার পর খড়্গপুর শহরে এ ধরনের কথা শোনা যায়নি। তাঁদের মতে, খড়গপুর যে ‘মিনি ইন্ডিয়া’, তা ফের প্রমাণিত হল। শ্রমিক আন্দোলনে রাজনৈতিক রং না দেখেই সকলে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা খড়গপুর পুরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকারের মন্তব্য, “এটা ত্রিপুরা নয়, বাংলা।” তাঁর দাবি, “তৃণমূলের বদনাম করতেই কে বা কারা বামফ্রন্টের দুই শ্রমিক সংগঠনের পতাকা নামিয়ে দিয়েছিল। তবে খড়গপুর শহর সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তা অক্ষুণ্ণ রাখতেই আমরা আজ ওদের পতাকা তোলার অক্ষুণ্ণ রাখতেই আমরা আজ ওদের পতাকা তোলার ব্যবস্থা করেছিলাম।” পতাকা-কাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল পদক্ষেপের সুপারিশ করবে বলেও জানিয়েছেন প্রদীপবাবু।