চাপ বাড়ছে নির্বাচকদের। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতের ওয়ান ডে দলে শিখর ধাওয়ানের সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তাঁর চাপ আরও বাড়িয়েছেন ছন্দে থাকা দুই তরুণ ক্রিকেটার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং বেঙ্কটেশ আয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল ঘোষণার আগে যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে নির্বাচকদেরও। কেউ কেউ মনে করছেন, শিখরের পক্ষে এই সফরে সুযোগ পাওয়া বেশ কঠিন। তাঁরা আশাবাদী ঋতুরাজ ও বেঙ্কটেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার ব্যাপারে। শিখর সম্পর্কে নির্বাচকদের এই আশঙ্কার কারণ, চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে একদমই রানের মধ্যে নেই দিল্লীর ওপেনার। প্রোটিয়া সফরের ওয়ান ডে সিরিজের জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ড রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক বেছে নিলেও দল এখনও ঘোষণা করেনি। এ বার দেখার, ক্রিকেটারদের ক্লান্তি ও জৈব সুরক্ষা বলয়ের কথা বিবেচনা করে ৫০ ওভারের ম্যাচের জন্য কত জন ক্রিকেটারকে দলভুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচকরা ঋতুরাজ এবং বেঙ্কটেশকে নিয়ে আশাবাদী এই কারণে যে, প্রথমজন বিজয় হজারে ট্রফিতে ইতিমধ্যে তিনটি শতরান করেছেন। বেঙ্কটেশের শতরান দুটি। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের আউট করে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স তারকা। ফলে অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পাণ্ডিয়ার বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাগামী দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে আয়ারের। ওপেনার হিসেবে কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মাই প্রথম পছন্দ। সে ক্ষেত্রে পাঁচ কিংবা ছ’নম্বরে নামিয়ে তাঁকে দেখে নিতে পারে দল পরিচালন সমিতি। প্রয়োজনে ওপেনও করতে পারেন বেঙ্কটেশ। কেরলের বিরুদ্ধে চার নম্বরে নেমে বেঙ্কটেশ ৮৪ বলে ১১২ রান করেছিলেন। এ ছাড়াও পাঁচ নম্বরে নেমে ৪৯ বলে ৭১ রান রয়েছে তাঁর। রবিবার চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ছ’নম্বরে নেমে ১১৩ বলে ১৫১ রান করেন তিনি। যার মধ্যে, ছিল আটটি চার ও ১০টি ছক্কা। তাঁর দল মধ্যপ্রদেশ জিতেছে পাঁচ রানে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ”দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বেঙ্কটেশ যাবেই। ও প্রত্যেক ম্যাচে ৯-১০ ওভার বল করে দেবে। তা ছাড়া, হার্দিক এই মুহূর্তে ফিট নয়। তাই এটাই ওকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত সময়। এতে ভাল ভাবে সর্বোচ্চ মানের জন্য তৈরি হতে পারবে বেঙ্কটেশ।” যোগ করেছেন, “নতুন দল পরিচালন সমিতি বেঙ্কটেশকে মাঝের সারিতে ব্যাট করার পরামর্শ দিয়ে ভাল কাজই করেছে। যদি ও আহত না হয়, তা হলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ান ডে ম্যাচে বেঙ্কটেশের খেলার সম্ভাবনা প্রবল।”
পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় আইপিএলে কমলা টুপি অর্জনের ছন্দ বহন করে নিয়ে এসেছেন বিজয় হাজারে ট্রফিতে। ইতিমধ্যেই পরপর তিনটি শতরান করে বিকল্প ওপেনার হিসেবে নির্বাচকদের খাতায় নাম তুলে রেখেছেন। এর আগে গায়কোয়াড় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কায় দুটি ম্যাচ খেললেও ওয়ান ডে ম্যাচে সুযোগ পাননি। এমনকী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সুযোগ আসেনি তাঁর কাছে। কারণ, রোহিত শর্মা এবং কে এল রাহুল বা ঈশান কিশান সুযোগ পাওয়ায় ওপেনার হিসেবে দলে আসতে পারেননি ঋতুরাজ। কিন্তু বিজয় হাজারে ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১৩৬, ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৫৪ রান ও কেরলের বিরুদ্ধে ১২৪ রান করার পরে তাঁকে এখন উপেক্ষা করা মুশকিল। রবিবার উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি ১৮ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে গেলেও ঋতুরাজের দল জিতেছে চার উইকেটে।