কৃষক আন্দোলনের জেরে আগেই পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল মোদী সরকার। গুরু নানকের জন্মদিনেই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সব দাবি পূরণ না হওয়ায় তারপরেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল কৃষক সংগঠনগুলি। অবশেষে দাবিপূরণ হতেই দিল্লীর সীমান্ত থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। এবার তাঁদের ঘরে ফেরার পালা।
কৃষক নেতার বলেছিলেন, বাড়ি ফেরা হবে শনিবার। কিন্তু আর যেন তর সইছিল না দিনের পর দিন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বসে থাকা কৃষকদের। তাই লক্ষ্মীবারে শান্তির বার্তা আসার পরই একে একে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা। শনিবার সকালেও দিল্লী সীমানায় দেখা গিয়েছে একই দৃশ্য। গাজিপুর, সিংঘু, টিকরি সীমানার তাঁবু গোটানো শুরু হয়ে গিয়েছে। একে একে রাজধানী ছাড়ছে বহু ট্রাক্টর।
জেনারেল বিপিন রাওয়াতের শেষকৃত্যের সম্মানে খাতায়-কলমে সেলিব্রেশন না হলেও বিক্ষিপ্তভাবে হয়েছে ছোট ছোট ‘সেলিব্রেশন’। ঢোল-নাকাঢ়ার তালে হয়েছে ভাঙড়াও। শুক্রবার সকাল থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল ফেরার প্রস্তুতি। আর আজ সারি সারি ট্রাক্টর-ট্রলিতে উঠতে শুরু করেছে গত এক বছরের সংসার। সংযু্ক্ত কিষান মোর্চার শীর্ষনেতৃত্ব জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সকলে ফিরে যাবেন। আর তার পরই ১৫ তারিখ সকালে ফিরবেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতরা।