বাংলার ছকেই আরব সাগরের তীরে গোয়ায় জনসংযোগে নামতে চলেছে তৃণমূল। পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে যাবেন তৃণমূল নেতারা। থাকবেন তৃণমূলস্তরের নেতা-কর্মীদের এলাকায়। মৎস্যজীবী, কৃষক, সাফাই কর্মী সকলের কাছেই পৌছে যেতে চাইছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাই বিশেষ প্রচার কৌশল গ্রহণ করল বাংলার শাসক দল।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে সর্বত্র স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছে সরকার। অন্য কোনও দলকে মাঠে নামতে দিতে চায় না তারা। আমাদের কাছে মানুষকে পৌঁছতে দিচ্ছে না। আমরা মানুষের কাছে পৌঁছব। বিজেপিকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস। কাউকে ভয় পাই না।’
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোরের টোটকায় শুরু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। নির্দিষ্ট সহায়তা নম্বরে ফোন করে অভাব-অভিযোগ জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন রাজ্যবাসী। একইসঙ্গে তৃণমূল নেতারাও ঘুরেছেন জেলায় জেলায়। সেই কৌশলেই গোয়ায় নামছে মমতার দল।
পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন ভাষাভাষী প্রধান এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই ঘাঁটি গেড়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। আগামী সপ্তাহেই যাবেন মমতা-অভিষেক। বিধানসভা ভোটের আগে বারে বারে গোয়া ছুটে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই আবহেই বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে নতুন করে কোমর বাঁধছে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা ঠিক করেছেন, ভোট ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত গোয়া জুড়ে দলের একটানা কর্মসূচি চলবে।
গোয়ায় প্রচারের জন্য একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মমতার বার্তা ছড়িয়ে দেবেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি প্রশাসনের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হবে। গোয়ার এই কর্মসূচিতেও বিজেপি বাধা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নেতৃত্ব। ‘গোয়েঞ্চি নভি সকাল’ ক্যাম্পেনের সূচনা করে ঘাসফুল শিবির আগেই জানিয়েছে, আমরা বিজেপির ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতিকে ভয় পাই না।