ইতিমধ্যেই আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের অদূরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এ রূপান্তরিত হয়েছে। ৫ই ডিসেম্বর দুপুর কিংবা বিকেলের দিকে ওড়িশার পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। এর প্রভাব পড়বে বাংলাতেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্র অনুযায়ী, ৪ঠা ডিসেম্বর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আমফান এবং যশ-এর জেরে এ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। রাজ্যের অন্য জেলাতেও ক্ষতির পরিমাণ কিছু কম ছিল না।
এরপর এই দুই বিপর্যয়ের ভয়াবহ স্মৃতি উস্কে ফের আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানিতে অতি সতর্ক রাজ্য। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই সব ব্যবস্থা করছে রাজ্য প্রশাসন। আমফান এবং যশের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্যবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরও। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কী হতে পারে এবং এর থেকে কী ভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে তার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে হাওয়া অফিস। যেহেতু ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তাই নিচু এলাকা, নদী এবং সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে। শহর এবং মফস্সলগুলির রাস্তা জলমগ্ন হওয়ার কারণে যানচলাচলের উপর প্রভাব পড়তে পারে। চাষের জমিতে জল জমে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে এখন ধান কাটার মরসুম চলছে। ফলে প্রভাব পড়তে পারে ধানের উপরও।
প্রসঙ্গত, নির্ধারিত গন্তব্যস্থলে যাওয়ার আগে রাস্তার যান চলাচলের বিষয়ে খোঁজ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাওয়া অফিস। যে সব এলাকায় জল জমার আশঙ্কা রয়েছে সেই এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে কোনও বিপজ্জনক নির্মাণের জায়গা।পর্যটকদের এই সময় সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, চাষীদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যত দ্রুত সম্ভব ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। খেতে জমে থাকা জল বার করে দিতে হবে। কেন না বৃষ্টির কারণে জল জমলে ক্ষতি হতে পারে ফসলের।