রাইজিং বেঙ্গল নিউজ ব্যুরো: কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াল তৃণমূল। দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে রীতিমতো তুলোধনা করা হল। লেখা হল, আন্দোলন বিমুখ কংগ্রেস এখন যেন ডিপফ্রিজে। নেতারা টুইট সর্বস্ব। ইউপিএ ভগ্ন। আর কংগ্রেসের এই অচলাবস্থায় বিকল্প বিরোধী মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সর্বজনগ্রাহ্য, এবং জনপ্রিয়। তাঁর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিরোধীরা।
শুক্রবার ‘জাগো বাংলা’র এই সম্পাদকীয়র শিরোণামই দেওয়া হয়েছে ‘ডিপফ্রিজে কংগ্রেস৷’ লেখা হয়েছে, ‘ইউপিএ শেষ, বিরোধী জোট দরকার৷ দলীয় কোন্দল আর রক্তক্ষরণে কংগ্রেস এতটাই বিদীর্ণ যে দল ধরে রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ পঞ্জাব থেকে গোয়া-ত্রিপুরা সেই কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে৷ অথচ সাম্প্রদায়িক. অগণতান্ত্রিক, জনবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী, কৃষকবিরোধী শক্তি বিজেপিকে হারানোর জন্য বিকল্প জোটের আশু প্রয়োজন৷ সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস যেন পার্টিকে ডিপফ্রিজে বন্দি করে রেখেছে৷ সামান্য লোক দেখানো আন্দোলন ছাড়া নেতারা কার্যত ঘরবন্দি, টুইট সর্বস্ব’৷
তৃণমূলের মুখপত্রে এর পরেই দাবি করা হয়েছে, ‘দেশের এই মুহূর্তে বিরোধী শক্তির জোটের দরকার৷ সেই দায়িত্ব বিরোধীরাই দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে৷ কারণ, তিনিই এখন সর্বজনগ্রাহ্য বিরোধী মুখ, জনপ্রিয় মুখ৷ তাঁর দিকে তাকিয়ে বিরোধী শক্তি৷’ কংগ্রেসের নেতৃত্বে যে তারা বিরোধী জোট মানবে না, তা আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছে তৃণমূল৷ দু’ দিন আগেই মুম্বইয়ে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ইউপিএ বলে আর কিছু নেই৷ জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তেও লেখা হয়েছে, ‘ইউপিএ শেষ, বিরোধী জোট দরকার’৷
গতকালই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তাঁর সাফ বক্তব্য, শেষ ১০ বছর ৯০ শতাংশ নির্বাচনে হেরেছে কংগ্রেস। এর নেতৃত্ব দেওয়াটা কংগ্রেস নেতৃত্বের ঈশ্বরপ্রদত্ত কোনও অধিকার নয়। দলের শীর্ষনেতা গুলাম নবি আজাদ বলে দিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মতো ৩০০ আসন জিতে আসার ক্ষমতা তাঁর দলের নেই। অর্থাৎ, ক্ষমতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে কংগ্রেস। তৃণমূলের বক্তব্য, আজাদ যে কথা বলছেন, অনেকদিন আগে থেকেই তারা সেকথা বলে আসছে। তৃণমূল বহু আগে থেকেই বলে আসছে, ইউপিএ শেষ। নবকলেবরে বিরোধী জোট দরকার। দলীয় কোন্দল এবং রক্তক্ষরণে কংগ্রেস এতটাই বিদীর্ণ যে দল ধরে রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।