বেলা বাড়তেই আরও উত্তপ্ত হচ্ছে ত্রিপুরার পরিবেশ। পুরভোটকে কেন্দ্র করে সকালেই তৃণমূলের দুই পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। এবার আক্রান্ত হলেন খোদ তৃণমূল প্রার্থীই। আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তপন কুমার বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল বেলায় আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ভোট দিয়ে বের হওয়ার পরই তাঁকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। আঘাতে তার বাম চোখ ফুলে গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকর্মীদের অভিযোগ, গতকাল সারা রাত ধরেই শহরজুড়ে তাণ্ডব চলেছে। বাইকে করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর চালিয়েছে। সকালেও তৃণমূলকর্মীরা বুথে গেলে তাদের মারধর করা হয়। পুলিশকে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে দাবি।
শুধু ৫১ নম্বর ওয়ার্ডই নয়, আগরতলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পদ্মা ভট্টাচার্যের ছেলে ধীমান ভট্টাচার্যকেও আক্রমণ করা হয়। তাঁকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ধীমানবাবু জানান, তিনি এদিন সকালে ভোট দিতে গেলে তাঁকে বলা হয় যে, ভোট হয়ে গেছে। এরপরই তিনি বেরনোর চেষ্টা করেন, কিন্তু কয়েকজন তাঁকে বাধা দেন। এরপরই ভোট কেন্দ্রের বাইরে তাঁকে মারধর করা হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর অভিযোগ, ভোট কেন্দ্রে গুণ্ডারা ইভিএম মেশিনের তার খুলে দিয়েছে। গতকাল রাত থেকেই ক্রমাগত হামলা হচ্ছে। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।