একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি-সহ বিভিন্ন দল থেকে নেতা-কর্মী-সর্থকদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঢল নেমেছে। তা নিয়ে দলের অন্দরে উঠেছে নানান প্রশ্নও। এমন পরিস্থিতিতে জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র যৌথ ভাবে এক নির্দেশিকা জারি করে জানালেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছাড়া দলে যোগদান করা যাবে না।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিজেপি বা অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মী যদি তৃণমূলে যোগদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলে তাঁকে বা তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করার জন্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র গৃহীত হলে তবেই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করতে পারবেন।
এপ্রসঙ্গে হুগলী-শ্রীরামপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি স্নেহাশিস বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভাবে জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর বিজেপি ও অন্য দল থেকে আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছে বহু নেতা-কর্মী-এমএলএ-এমপিরা। তারা দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করছেন। আমাদের দলের এই মুহূর্তে গাইডলাইন রয়েছে, যে বা যাঁরা অন্য দল থেকে আসতে চান,তাঁদের সরাসরি আবেদন করতে হবে আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর অনুমোদন সাপেক্ষেই কাউকে দলে নেওয়া যাবে।”
দিনকয়েক আগে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী নেটমাধ্যমে লিখেছিলেন, “যারা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল, তাদের কোনও অবস্থাতেই তৃণমূলে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। আগে থেকে যারা বিজেপিতে ছিল তারা আসতে চাইলে আবেদন করতে হবে। বলাগড়ের একদল কথিত নেতা গণহারে বিজেপি থেকে তৃণমূলে লোক ঢোকাচ্ছে। আমি সে বিষয়ে অবগত নই।” প্রসঙ্গত, বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় বিধায়ক মনোরঞ্জনকে জানানো হয়নি বলে তাঁর ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ।