এবার ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বছর শতবর্ষ উপলক্ষে শতাধিক গাছ পোঁতার কর্মসূচী নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেইমতো শুক্রবার সকাল থেকে দু’টি ভাগে বৃক্ষরোপণ শুরু হয়েছে পূর্বপল্লির পৌষ মেলার মাঠ এবং আশ্রম মাঠে। আপাতভাবে এটি কর্মসূচী হলেও কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আশ্রমিকদের অভিযোগ, পৌষমেলা বন্ধ করার জন্য পরিকল্পনা করে মাঠ জুড়ে গাছ পুঁতে ফেলা হচ্ছে। হাত লাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরাও।
শুক্রবার বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের উদ্যোগে পৌষমেলার মাঠে এবং আশ্রম মাঠে পলাশ, কৃষ্ণচূড়া এবং অমলতাস লাগানো হয়। ৫০টি গাছ পৌষমেলা মাঠে এবং বাকি ৫০টি আশ্রম মাঠে লাগানো হয়। এদিন এই গাছ লাগানো অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাড়াও বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে অশান্তির সময় প্রচুর গাছ ভেঙে গিয়েছিল। সেইসব জায়গাতেই এই গাছগুলি লাগানো হয়।
আশ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আর পৌষমেলা করতে চাইছে না। তাই তারা পরিকল্পনা করে পৌষমেলার মাঠে গাছ পুঁতে দিচ্ছে। প্রথমে মাঠ ঘিরে গেটগুলিতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর মাঠে পড়ুয়াদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এবার গাছ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বোলপুর ব্যবসায়ী সমতির পক্ষে সুনীল সিং এবং সুব্রত ভকত বলেন, ‘বিশ্বভারতী পৌষমেলা করবে না। তাই পরিকল্পনা করে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পৌষমেলা করার দাবি জানাচ্ছি।’