ভোট প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যের মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতো তৃতীয়বার সরকার গড়ে জুলাই মাসেই মহিলাদের জন্য সেই প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। যার ফলস্বরূপ পুজোর আগেই রাজ্যের মা-বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা।এবার ১ কোটি ৩৩ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধার আওতায় আনল রাজ্য। মোট আবেদনকারী এক কোটি ৬১ লক্ষের বেশি হলেও এই বিরাট সংখ্যক মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দিতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর মাসের টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২১৬৩ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে রাজ্য। ২৮ লক্ষ মহিলার সঠিক অ্যাকাউন্ট না থাকা, আবেদন ঠিকঠাক না হওয়ার জন্যই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না বলেই নবান্ন সূত্রের খবর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগণাতে, ১৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ২১৫ টি। যার মধ্যে সুবিধার আওতাভুক্ত হয়েছেন ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৬ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আবেদন জমা পড়েছে ১৬ লক্ষ ২১ হাজার ১১৫টি। যার মধ্যে ১২ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৫৬ জন পেয়েছেন এই সুবিধা। আলিপুরদুয়ারে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ১৪১ টি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৫০ জন। বাঁকুড়ায় আবেদন জমা পড়েছে ৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৭০২ টি। প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৬ লক্ষ ১ হাজার ৬৪৮ জন।
আবার পূর্ব মেদিনীপুরে ১০ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৪৫ টি আবেদন জমা পড়েছে। সুবিধা পেয়েছেন মোট ৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৯৮ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৬২ টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে সুবিধা পেয়েছেন ৮ লক্ষ ১০ হাজার ৪২২ জন। নদীয়া, হুগলি, হাওড়ার পরিসংখ্যানও বলছে দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। নদিয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন জমা পড়েছে ১০ লক্ষ ২২ হাজার ৪৩১ টি। আর সুবিধে পাচ্ছেন ইতিমধ্যেই ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৫৫ জন। হুগলিতে আবেদন জমা পড়েছে ১০ লক্ষ এক হাজার ৭৪৩ টি। সুবিধে পেয়েছেন ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৩৭ জন। হাওড়ায় আবেদন জমা পড়েছে সাত লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৯২ টি। সুবিধে পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ১৯৬ জন।