এবার চরমে পৌঁছল মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক এবং এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের দ্বন্দ্ব আরও চরমে পৌঁছল। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়েরের ঠিক পরেই আরও বিস্ফোরক নবাব মালিক। তাঁর অভিযোগ, আরিয়ানকে ফাঁদ পেতে ক্রুজে তোলা হয়েছিল। তারপর চাওয়া হয় টাকা। যা কার্যত অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির শামিল। এই ঘটনার মূলচক্রী এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা। প্রসঙ্গত, গত ২রা অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী কর্ডেলিয়া ক্রুজে রেভ পার্টির আয়োজন করা হয়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে-সহ বহু আধিকারিক ওই ক্রুজে চড়ে বসেন। মাঝসমুদ্র থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান-সহ বেশ কয়েকজনকে। মাদক কাণ্ডে তারকাপুত্রের গ্রেপ্তারির ঘটনায় লাগে রাজনীতির রঙ। সমীর ওয়াংখেড়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আরিয়ানকে ফাঁসিয়েছেন বলেই দাবি করেন আগেই দাবি করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক।
এরপর রবিবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত বিস্ফোরক দাবি করলেন নবাব মালিক। মন্ত্রী জানান, আরিয়ানের কাছে ক্রুজ পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য টিকিট ছিল না। প্রতীক গাবা এবং আমির ফার্নিচারওয়ালারা তাঁকে পার্টিতে পাঠান। বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজই প্রমোদতরীর মাদক কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। মোহিত এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি তাঁর। গত ৭ই অক্টোবর সমীর এবং মোহিত দু’জনে ওশিওয়াড়া কবরস্থানের কাছে একান্তে দেখা করেন বলেও দাবি মন্ত্রীর। তবে সিসিটিভি না থাকায় প্রামাণ্য কোনও নথি তাঁর কাছে নেই তা স্বীকার করে নেন নবাব মালিক। এদিকে, সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা ধ্যানদেব মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন। এনসিবি কর্তার বাবার দাবি, ছেলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে ওয়াংখেড়ে পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিয়েছেন নবাব মালিক। বম্বে হাই কোর্টে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন এনসিবি কর্তার বাবা। এছাড়া তাঁর দাবি, নবাব মালিক যাতে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আর যাতে একটি কথাও বলতে না পারেন, সে বিষয়ে আদালত নির্দেশ দিক। আগামী সোমবার মামলার শুনানি। সেদিকেই নজর প্রত্যেকের।