৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শনিবার থেকে তার প্রচার শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গোসাবা এবং শান্তিপুরে দুটি সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জনগণের উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেন, ‘গোসাবায় প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল নন, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। অর্থাৎ ভোট দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই।
কিছুদিন আগেই কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে ৯ ঘণ্টা জেরা করে ইডি। এদিনের সভায় সে কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমাকে যদি ৫ হাজার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে, যদি গলাটা কেটেও দেয়, তাও জয় বাংলা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বের হবে।’ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আগেও সরব হয়েছিলেন তিনি। এবারও সেই কথা তুলে ধরলেন।
একটি স্লোগান তৈরি করে দেন অভিষেক। গোসাবা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সুব্রত মণ্ডলকে। তিনি বলেন, ‘আগে বলেছিলাম বহিরাগতদের দিন বিদায়, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। এবার বলছি, বহিরাগতদের দিন বিদায় গোসাবা নিজের ছেলেকে চায়। ভূমিপুত্র সুব্রত মণ্ডলকে জেতান। প্রতি বুথ, প্রতি অঞ্চল থেকে জেতাতে হবে। কারণ প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল নন, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
এদিনের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিকে একমাত্র রুখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস। পদ্মশিবিরকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘আজকের তারিখ লিখে রাখুন। আগামী তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় সরকার গড়বে তৃণমূল। আগামী দেড় বছরে ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সরকার হবে। বিপ্লব দেবের যত ক্ষমতা রয়েছে কাজে লাগাক। ত্রিপুরায় ঢুকব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও আদর্শকে সামনে রেখে লড়ব। ত্রিপুরাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার হবে’।