যাবতীয় সমস্যাকে একশো কোটির টিকাকরণের জাদুদণ্ড বুলিয়ে ভুলিয়ে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে অর্থনৈতিক সঙ্কট, পেট্রল ডিজেলের সেঞ্চুরি পেরিয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা মুছতেই টিকাকরণের ঢাকা বাজানোর কৌশল নিয়েছে শাসক শিবির। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
দেশে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণের মাধ্যমে যে সাফল্য এসেছে, তার জন্য জনতার অংশীদারির প্রশংসা করে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা যুক্তিতে বিরোধীদের মত হল, টিকাকরণের সাফল্যকে তুলে ধরে আসলে যাবতীয় সমস্যাকে আড়াল করার প্রচেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বেকারত্ব, পেট্রো-পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কাশ্মীরের জঙ্গি হামলা, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বেআব্রু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি যে টোল খেয়েছিল, তা টিকাকরণের সাফল্য দিয়ে মুছে দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, ‘একশো কোটি টিকাকরণ হয়েছে ভাল কথা। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে দেশের ২১ শতাংশ মানুষই কেবল দু’টি ডোজ পেয়েছেন। পেট্রোপণ্যের মূলবৃদ্ধি হয়েই চলেছে। কৃষকেরা এখনও রাস্তায়। গুদামে খাদ্যপণ্য পচলেও, দেশবাসীর বড় অংশের পেট খালি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল এ সব নিয়েও মুখ খোলা’। কংগ্রেসের দাবি, পেট্রোল-ডিজেল একশো পেরিয়ে গিয়েছে অনেক দিন। দুর্মূল্য রান্নার গ্যাস। কোভিড কালে কয়েক লক্ষ দেশবাসীর মৃত্যু, অর্থনীতির সঙ্কোচন, চাকরি হারিয়ে মানুষ যখন চরম দুরবস্থা, তখন সব সমস্যা একশো কোটির টিকাকরণের সাফল্যে ঢেকে ফেলার চেষ্টা করছেন মোদী।