একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বিস্তার এবং নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা। সেই লক্ষ্যেই এবার গোয়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই রীতিমতো চমক দিয়ে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দীর্ঘ দিনের বিধায়ক লুইজিনহো ফালেরিও যোগ দিয়েছে তৃণমূলে। তাঁকে এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদে বসিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল। এহেন পরিস্থিতিতে এবার গোয়াতেও তারকাদের পাশে পেতে চাইছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন গোয়ায় গায়ক লাকি আলি এবং অভিনেত্রী, সমাজকর্মী নাফিসা আলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এদিন বলেন, ‘নাফিসা আলি, লাকি আলি ও রেমো ফার্নেন্ডেজ যোগাযোগ করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে। আরও অনেকে আসবেন। আমরা চাইব ছোট আঞ্চলিক দল না থেকে তারা আমাদের কাছে চলে আসুক। গোয়াতে মমতা বন্দোপাধ্যায় যাচ্ছেন। সেখানে আলোচনা হবে।’ আর ২৮ অক্টোবর গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের সময়ই অনেক চমক থাকতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই বিজেপি, কংগ্রেসের চিন্তা আরও বাড়িয়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধতে আগ্রাহী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি৷ ইতিমধ্যেই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতাদের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে৷
দলের প্রচারে গোয়ায় অনেকদিন ধরেই রয়েছেন ডেরেক। তিনি লাকি এবং নাফিসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরই তাঁদের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। নাফিসাও নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ইদানীং বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ও বিজেপির সমালোচনা করে চলেছেন। কলকাতায় জন্ম হওয়া নাফিসার দক্ষিণ কলকাতা থেকে ভোটে লড়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি কংগ্রেস পার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই আসনে। বিপক্ষে ছিলেন স্বয়ং মমতা। সেই নাফিসাই এখন ‘বাঘিনী’ বলে সম্বোধন করেছেন মমতাকে। ফলে জল্পনা আরও দানা বাঁধছে। গোয়ার আরও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর৷