একদিকে যখন লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তখন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো সামিল নিম্নচাপের ফলে হওয়া অতিরিক্ত বৃষ্টি। আর এই দুয়ের জেরেই আগুন সবজির বাজার। কোনও কোনও সবজির দাম সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফলের দামও। সব মিলিয়ে দামের ছেঁকায় হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তর।
সবজির বাজারে দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের। পুজোর মরশুমে এমনিতেই দাম বেড়েছে সবজির। লক্ষ্মীপুজোর পর বৃহস্পতিবার সামান্য কিছুটা কমেছে সবজির দাম। সেঞ্চুরি পার করা টমেটোর দাম নেমেছে ৮০ টাকা কিলোতে। যা বিগত কয়দিন ১০০ টাকা কিলোয় বিক্রি হয়েছে কলকাতার বাজারে। তবে এখনও কিছু সবজির দামই ১০০-র ওপর। ক্যাপসিকাম, বিনস, দেশি পটলের মতো সবজিগুলো দামে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণের। দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে বিক্রি। মধ্যবিত্তের ঘরে প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ সবজি ঢুকছে রোজ।
গড়িয়াহাট বাজারে তমেস্বর সিংহের কথায়, ‘এবার অন্যবারের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আর এই বৃষ্টির জন্যই দাম বাড়ছে ফল-সবজির।’ কসবা বাজারের সবজি বিক্রিতা সনজিৎ দাসও বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য এইরকম সবজির দাম বাড়া-কমা নির্ভর করে। শুধু তাই নয়, যেইগুলো বাইরে থেকে আমদানি করা হয় যেমন টমেটো, ক্যাপসিকাম, বিনস এগুলো গাড়ি ভাড়ার ওপর নির্ভর করে। তেলের দাম যেহেতু বেড়েছে তার ফল পড়ছে। আমদানির ওপর নির্ভর করে। আমদানি যদি বেশি হয় তখন দাম কমবে।’
অন্যদিকে, ট্রেনে করে এখন মাল আসা কমে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গাড়ির ওপর ভরসা। গাড়ি মানেই পেট্রল-ডিজেলের দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম বাড়ছে সবজির, মত গড়িয়াহাটের সবজি বিক্রেতা কৌশিক ফাদিকারের। তাঁর কথায়, ‘আমাদের প্রচুর সবজি নষ্ট হচ্ছে। দাম বেশি থাকায় বিক্রি হচ্ছে না। সেই সবজি নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি, বৃষ্টির জন্যও সবজি নষ্ট হয়েছে। যত নষ্ট হবে সবজির দাম তত বাড়বে।’ ঠাকুর জলে পড়লেই শীতের আমেজ শুরু হয়। কিন্তু এখনও সেভাবে ঠাণ্ডার আমেজ নেই। কৌশিকবাবুর আশঙ্কা, ঠাণ্ডা না পড়লে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।