কদিন পরেই ফের উপনির্বাচন বাংলায়। ভোট প্রচারের জন্য সময় একেবারেই সীমিত। তাই পুজোর মরসুমে ঘরে বসে থাকতে রাজি নন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। পুজোর সময়কে অন্যভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা। আগামী ৩০শে অক্টোবর চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট হবে খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর ও দিনহাটায়। কিন্তু এই ভোট পর্বের মধ্যেই বাংলা এখন দুর্গাপুজোর আনন্দে ভাসছে। রবিবার ছিল মহাপঞ্চমী। সাধারণ মানুষ প্যান্ডেল-প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন। তাই ভোট প্রার্থীরাও কাজে লাগাতে আগ্রহী এই পুজো পর্বকে।
উল্লেখ্য, খড়দহের তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রবিবার ১৭টি পুজোর উদ্বোধন করেছেন। এলাকায় ঘুরেছেন। অষ্টমীর দিনে হাজরা পার্কে পুজার্চনাতে ব্যস্ত থাকবেন। বাকি দিনগুলিতে তিনি খড়দহেই থাকবেন বলে জানান। তাঁর বক্তব্য, “এলাকায় ঘুরব। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলব। প্রায় একই বক্তব্য দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর। তিনি বলেছেন, বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজোর আনন্দে ফাঁক পড়ুক, তা কখনই চাই না। তাই এই সময় প্রচার করছি না। তবে এলাকায় ঘুরে জনসংযোগের কাজ চলবে।” গোসাবার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। ২৫ বছর ধরে তা চলছে। ফলে বাড়িতে মানুষজন আসবেন। তিনি বলেছেন, “সকালবেলায় এলাকার পুজো প্যান্ডেলে যাব। দুপুরের পর থেকে বাড়িতেই থাকব। এর ফাঁকে ঘরোয়া বৈঠকও সেরে ফেলার চেষ্টা করব।” তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, পুজো পর্বে কোথাও পতাকা থাকবে না। এলাকায় ঘোরার সময়ও বিলি করা হবে না কোনও লিফলেট। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলাই তখন উদ্দেশ্য হবে। তবে একাদশীর পর থেকে ভোট প্রচারে মন দিতে চান তৃণমূলের প্রার্থীরা।