পুরোটাই সাজানো ঘটনা। শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে মাদক-কাণ্ডে গ্রেফতার করার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে। মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে উদ্ধার হওয়া মাদক এবং আরিয়ান খানের গ্রেফতারি নিয়ে ঠিক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) সকলের অগোচরে ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন বিজেপি নেতার আত্মীয়। আর সে কারণেই একটা বড়সড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মালিক।
এনসিবি কাদের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে এবং তারা কাদের ছেড়ে দিয়েছে সেই সমস্ত প্রমাণ নিয়ে শুক্রবার হাজির হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, দেশের মাদক বিরোধী সংস্থা গত এক বছর ধরে মুম্বইয়ে নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য। কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা পরিচালিত সরকার, মুম্বই এবং বলিউডের বদনাম করতেই এ ধরনের ভুয়ো অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি মালিকের।
তাঁর কথায়, ‘এনসিবির আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে দাবি করেছেন তাঁদের হেফাজতে ১০ জন রয়েছেন। অথচ আদালতে ৮ অভিযুক্তকে পেশ করা হল। যে আধিকারিক এই অভিযান চালিয়েছেন তিনি অস্পষ্ট তথ্য দিচ্ছেন। ৮ জন নাকি ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল সেই বিষয়টি স্পষ্ট করছেন না।’ এর পরই মালিক দাবি করেন, ‘এনসিবি ১০ জনকে আটক করলেও দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন যিনি রবিবার এনসিবিকে খবর দেন অভিযান চালানোর জন্য, অন্য জন বিজেপি নেতার আত্মীয়।’
মালিকের অভিযোগ, ‘মহারাষ্ট্রের বদনাম করাই লক্ষ্য এনসিবি-র। রিয়া চক্রবর্তী, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে আরিয়ান খান— যেখানেই প্রাচর পাওয়ার মতো বিষয় আছে সেখানেই ঝাঁপাচ্ছে এনসিবি। অনেকগুলি মামলা আবার ভুয়ো। কোনও কোনও ঘটনায় মাদকই উদ্ধার হয়নি। এনসিবি নিজেদের দফতরের মাদক নিয়ে এসে সেগুলির ছবি তুলে দাবি করছে মাদক উদ্ধার হয়েছে! এবং সেই ছবি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ করার জন্য দেওয়া হচ্ছে।’