লখিমপুর খেরিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর গ্রেপ্তারির দাবি জোরাল করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কার সাফ কথা, যতদিন পর্যন্ত অজয় সিং টেনি পদ ছাড়ছেন ততদিন পর্যন্ত লখিমপুর কাণ্ডে সুবিচার হতে পারে না। আর রাহুল বলছেন, সুবিচার হবেই। আর সেটা তাঁরা নিশ্চিত করবেন।
বুধবার রাত ন’টা নাগাদ বিরাট কনভয় নিয়ে লখিমপুর পৌঁছন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সেখানে তাঁরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে অবশ্য সেখানে পৌঁছাতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাঁদের। প্রথমে তো অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে অনুমতি দেওয়া হলেও লখনউ বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় রাহুলদের। বলা হয় নিজেদের গাড়িতে লখিমপুরে যেতে পারবেন না তাঁরা। যেতে হবে পুলিশের গাড়িতে। পুলিশের সেই ‘গাঁ-জোয়ারি’ মানেননি রাহুল। লখনউ বিমানবন্দরেই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ধরনায় বসেন কংগ্রেস নেতা। পরে অবশ্য নিজের গাড়িতেই লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় রাহুল গান্ধীকে।
লখনউ থেকে রাহুল প্রথমে সীতাপুর যান। সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে চলে যান লখিমপুর। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা দুজনেই। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন একসঙ্গে। যেভাবে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন, তা প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেকেরই। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাহুল প্রিয়াঙ্কাদের আলিঙ্গনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।