গত রবিবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লখিমপুরে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। এবার ৮ অক্টোবরের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানাতে বলেছে, খেরি লখিমপুর হিংসা মামলায় এফআইআরে অভিযুক্ত হিসাবে যাদের নাম আছে, তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা। গতকালই সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খেরি লখিমপুরে গাড়িচাপা দিয়ে কৃষক হত্যার অভিযোগ, তার জেরে মারাত্মক অশান্তি, হিংসার মামলার শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়। আজ প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়।
অভিযোগ, লখিমপুরে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কৃষকদের ওপর দিয়ে রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি চলে গেলে আটজনের মৃত্যু হয়। চার কৃষকের পাশপাশি আরও তিনজন, এক সাংবাদিকও আছেন নিহতদের তালিকায়। এপর্যন্ত এ ব্যাপারে গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে উত্তরপ্রদেশ সরকার বেঞ্চকে জানায়, মামলার তদন্তে বিশেষ টিম বা সিট গঠনের পাশাপাশি একটি এক সদস্যের এনকোয়ারি কমিশনও তৈরি করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলতে হবে কতজন গ্রেফতার হয়েছে। নিহত আটজন সম্পর্কেও আমাদের জানান। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ক্ষোভের ব্যাপার হল, আপনারা সঠিক এফআইআর দায়ের করেননি, যথাযথ তদন্ত হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের গাড়ি প্রতিবাদী কৃষকদের পিষে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাতে তাঁর ছেলে আশিষ মিশ্র ছিলেন বলে অভিযোগ কৃষকদের। তবে এর মধ্যে লবকুশ রানা ও আশিস পান্ডে নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হপেও অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস এখনও বেপাত্তা। গ্রেফতার দুজন আশিসের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি পুলিশের। মিশ্রর ছেলে ও বাকিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় তিকোনিয়া থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, গাড়ি থেকে নেমেও গুলি চালিয়ে গা ঢাকা দেন আশিস।