কৃষকমৃত্যুকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকা। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন বিরোধীরা। কিন্তু যোগী সরকারের অনুমতি মেলেনি। বুধবার সেখানে যাওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধীর। তাঁকেও যাওয়ার অনুমতি দিল না যোগী প্রশাসন।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার লখিমপুর খেরি যাওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধী, শচীন পাইলট, চরণজিৎ সিং চান্নি, ভূপেশ বাঘেল এবং কেসি বেণুগোপালের। অনুমতি চেয়ে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে চিঠি দেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কেসি বেণুগোপাল। চিঠিতে প্রিয়াঙ্কার গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে তাঁদের অনুমতি দেয়নি যোগী প্রশাসন। যদিও অনুমতি না পেলেও আজ লখিমপুর খেড়িতে যাচ্ছেন রাহুল। সঙ্গে থাকবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লীর সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘একনায়কতন্ত্র চলছে। কৃষকদের উপর পরিকল্পিত হামলা এটা। তাদের জিপ দিয়ে পিষে দিচ্ছে মোদী সরকার। আমার পরিবারের উপর জুলুম করলেও কৃষকদের নিয়ে আমরা কথা বলবই’।
রসঙ্গত, রবিবার উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপরে গাড়ি চালিয়ে পিষে মারার মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। ৮ কৃষকের মৃত্যুতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসের। তবে রবিবারের ওই ঘটনার পর থেকে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যোগীরাজ্যের লখিমপুর খেরি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের তিনটি গাড়িতে। এদিকে এক জাতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গাড়ির মালিকানার কথা মেনে নিয়েছেন। তবে ঘটনার সময় তাঁর ছেলে আশিস ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলেই দাবি করেছেন অজয় মিশ্র।