বেশ কয়েকঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বড়বাজারের কলুটোলা স্ট্রিটের আগুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুজিত বসু। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে অবশ্য আগুন নেভানোর কাজের তদারকি করেন তিনি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সুজিত বসুকে ফোন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে কত সময় লাগবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, এলাকাবাসীর সুস্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ আগুন লাগে বড়বাজার লাগোয়া কলুটোলা স্ট্রিটের একটি বাড়ির দোতলায়। প্রথমে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। কিন্তু, ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। হাইড্রলিক ল্যাডার দিয়েও আগুন নেভানোর কাজ চলে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয়দের।
জানা গিয়েছে দোতলাটি গুদামঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত। সেখানে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এদিন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী। সুজিত বসু বলেন, ‘এলাকাবাসীকে শান্ত থাকতে বলেছি। দমকলকর্মীরা কাজ করছেন। এখন পোস্টমর্টেমের সময় নয়, এখন আগুন নেভানোকে প্রাথমিকতা দেওয়া উচিত।’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান শর্ট শার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ড।