বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের উপনির্বাচনপর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হলেও বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপি। এদিন হঠাৎ বিকেলের দিকে বিজেপির পক্ষে অভিযোগ করা হয়, দলের নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়ির উপরে তৃণমূল হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি। এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি যখন সরব, তখনই নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আদৌ বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে ভবানীপুরে যাননি কল্যাণ। তিনি ছিলেন, বিহারের রাজনৈতিক দল হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার এজেন্ট। সেই পরিচয়েই তিনি ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় যাওয়ার অনুমতি নেন। একই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে থাকা যে গাড়িটি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ সেটির জন্য কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি কমিশনের কাছ থেকে। অন্য একটি গাড়ির অনুমোদন দিয়েছিল কমিশন।
ঘটনাক্রমে বিকেল থেকেই কিছুটা উত্তাপ ছড়ায় ভবানীপুরে। কিন্তু দিনের শেষে বিজেপিই বিপাকে পড়ে যায়। অশান্তি তৈরির চেষ্টার অভিযোগে কল্যাণের আপ্ত সহায়ক রাজবীর সিংহকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, গত বিধানসভা নির্বাচনেও মানিকতলা আসনে বিজেপির টিকিটে লড়াই করা কল্যাণ কেন বিহারের জিতনরাম মাজিঁর দলের এজেন্ট হয়ে ভবানীপুরে এসেছিলেন? কেনই বা অনুমোদন নেই এমন গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন? এই দুই প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণ বলেন, “হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা এবং আমরা একই ভাবধারায় বিশ্বাসী দল। আর যে গাড়িটির অনুমোদন কমিশন দিয়েছিল সেটা আচমকা খারাপ হয়ে যাওয়ায় অন্য গাড়ি নিতে হয়।” রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কমিশনের উচিত কল্যাণকে শোকজ করা।”