জাতীয় রাজনীতিতেও শোরগোল ফেলে সম্প্রতি ফুল বদল করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। এমতাবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
বৃহস্পতিবার এক মন্তব্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর তাঁর মন্তব্যের পর গতকালই মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যও ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
মুর্শিদাবাদ থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমরা এখন দলের দরজা বন্ধ করে রেখেছি। কিন্তু যে দিন মনে হবে, সেই দরজা খুলে দেব। আর সে দিন বিজেপি পার্টিটাই উঠে যাবে।’ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই ভাঙন ধরেছে বিজেপিতে। ইতিমধ্যে মুকুল রায় সহ চার বিজেপি বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন শাসক দলে।
জাতীয় রাজনীতিতেও শোরগোল ফেলে সম্প্রতি ফুল বদল করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। এমত অবস্থায় অভিষেকের হুঁশিয়ারি নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
অবশ্য বিজেপির দুশ্চিন্তা বৃহস্পতিবার প্রথম বাড়িয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। দলবদল প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ”কয়েকদিন বাদে এমন একটা নাম আসবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, চিন্তা করতে পারবেন না।” তাঁর আরও দাবি ছিল, ‘বিধায়করা তো আসছেনই, আরও অনেক বিধায়ক আসবেন। কিন্তু বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসবেন এমন এক বড় নাম, ভাবতে পারবেন না সেটা।’ কিন্তু কে সেই নেতা, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মন্ত্রী।
তাতে অবশ্য বিজেপির অন্দরের জল্পনা যাওয়ার নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী-সাংসদের দলবদল নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে।
লকেটের তরফে অবশ্য সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বাবুল সুপ্রিয়র যোগদানের দিন বলেছিলেন, ‘সবে তো শুরু হল, দেখতে থাকুন…’ এরপর বৃহস্পতিবারও তিনি যেভাবে বিজেপিতে ভাঙনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবির।
দলে ভাঙনের আশঙ্কা যে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। ফিরহাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্তও গতকাল বলেন, ‘যারা নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে বিজেপি দলটা করেন, তারা কখনও পার্টি ছেড়ে যে যাবেন না, সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। তবে আপনাদের মাধ্যমেই আমি বলছি, যাদের দলের মধ্যে কোনও সমস্যা হচ্ছে, রাগ-ক্ষোভ রয়েছে, তাঁরা আসুন দলের মধ্যে আলোচনা করুন।’
দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সুকান্তর সংযোজন, ‘আমি মনে করি, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয় না, এমন কোনও সমস্যা নেই। আসুন, সবাই একসঙ্গে কাজ করি। এই সরকারকে উৎখাত করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।’