১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সমাবেশ করছে বিজেপি৷ এমনই অভিযোগ তুলে ত্রিপুরার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল তৃণমূল৷ করোনা সংক্রমণের দোহাই দিয়ে তৃণমূলকে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিছিল করতে দেওয়া হয়নি৷
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ হাইকোর্টকেও একই কথা জানিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার৷ অথচ ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সমাবেশ করছে বিজেপি৷ এমনই অভিযোগ তুলে ত্রিপুরার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল তৃণমূল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতি চেয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ত্রিপুরা সরকারের মতামত জানতে চায়৷ রাজ্য সরকার জানায়, ২০ সেপ্টেম্বর তারা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷
সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা অতিমারি এবং দুর্গা পুজোর কথা মাথায় রেখে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের রাজনৈতিক সমাবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে৷ ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে সায় দেয় আদালতও৷
মুখ্যসচিব অলোক কুমারকে লেখা চিঠিতে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে ত্রিপুরা পূর্ব এবং পশ্চিম আগরতলা থানা এলাকায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার জেলাশাসক৷
তা সত্ত্বেও ত্রিপুুরা সরকারের উদ্যোগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী হলে আয়ুষ্মান ভারতের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সহ সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা৷
শুধু তাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ গত ২১ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও গোমতি জেলার উদয়পুরের কাকরাবনে একটি রাজনৈতিক সভায় বক্তৃতা দিতে দেখা যায় বিপ্লব দেবকে৷
চিঠিতে সরাসরি না লিখলেও তৃণমূলের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণের অজুহাতে ১৪৪ ধারা জারি করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশ আটকালেও বিজেপি-কে সেই অনুমতি দিচ্ছে ত্রিপুরা সরকার৷
সরকারি এই নির্দেশিকা আসলে মানুষের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করছে বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷ অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অঠওয়ালের উপস্থিতিতেও আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানেের আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের৷ চিঠিতে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, ভিডিও রেকর্ডিং এবং সামাজিক মাধ্যমের ছবি থেকে স্পষ্ট, দু’টি অনুষ্ঠানেই করোনা বিধি ভঙ্গ করে পাঁচশোর বেশি মানুষ জমায়েত করেছিল৷