নীতিশ রাজ্যে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে পাটনায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কলকাতার এক সঞ্চালিকা। শহরে ফিরেই এ বিষয়ে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। যাদবপুর থানার পুলিশ ‘জিরো এফআইআর’ করে অভিযোগ পাঠায় পাটনায়। কিন্তু ঘটনার পর আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে গ্রেফতার করেনি বিহার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা ওই তরুণীর সঙ্গে গত জুন মাসে বিহারের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার যোগাযোগ হয়। ওই সংস্থার পক্ষে তাঁকে জানানো হয়, জুলাই মাসে পাটনায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই বিয়েতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনের জন্য ওই তরুণীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি রাজি হয়ে যান। জুলাই মাসের প্রথমেই তিনি পাটনায় পৌঁছে যান। ২ জুলাই ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে তিনি হোটেলে যান।
তরুণীর অভিযোগ, রাত বারোটার পর তাঁর ঘরের দরজায় কেউ ধাক্কা দেয়। দরজা খুলতে দেখেন, ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার এক কর্তা ও তার বন্ধু এসেছেন। অনুষ্ঠানের টাকা মেটানোর নাম করেই তাঁর ঘরে দু’জন প্রবেশ করে। এর পরই ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁর ওপর যৌন অত্যাচার শুরু হয়। দুই ব্যক্তি মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই কুকীর্তির পর তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। যার ফলে রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তরুণী। তাঁর ধারণা হয়, তিনি পুলিশের কাছে গেলে পাটনায় তাঁকে খুন করা হতে পারে।
এর পরের দিনই তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। যাদবপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তরুণী। যেহেতু ঘটনাটি বিহার পুলিশের আওতায়, তাই আইন মেনে যাদবপুর থানার পুলিশ ‘জিরো এফআইআর’ করে। এরপর এই মামলার নথিপত্র কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে পাটনা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। পাটনায় এই ব্যাপারে গণধর্ষণের অভিযোগও দায়ের হয়। কিন্তু তরুণীর অভিযোগ, ঘটনার আড়াই মাস কেটে যাওয়ার পরও তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। গ্রেফতারি দূরের কথা, কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি নীতিশ কুমারের পুলিশ।