ফের পিছল ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলার শুনানি। এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী। কিন্তু আদালত তা অগ্রাহ্য করে জানিয়ে দেয় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। সেখানেও দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী। সেদিনও তা খারিজ হয়ে যায়। এই মামলায় দ্রুত শুনানির গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেনি আদালত। ফের এদিনও একই আর্জি করা হয়েছিল মামলাকারীর তরফে। এদিনও আদালত নিজের অবস্থানেই অনড় থাকে।
রাজ্যের মোট পাঁচটি আসন ছিল উপনির্বাচনের অপেক্ষায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন মাত্র একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে। তা হল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। শোনা গিয়েছিল, ভবানীপুরের ভোট আটকাতে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটতে পারে বিজেপি। যদিও তারা এই কেন্দ্রে ভোটে লড়ছে এবং পুরোদমেই চলছে ভোটপ্রচার। অন্যদিকে কংগ্রেস ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী না দেওয়ায় ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে একুশের ভোটে তাদের জোট শরিক সিপিএম।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে ২ মে। ২৯৩ আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। অন্য দিকে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। ভোট হওয়ার আগেই জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী ও সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী মারা যাওয়ায় এই দুই আসনে বিধানসভা ভোট বাকি রয়েছে। ভবানীপুরে জয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দিনহাটায় জয়ী নিশীথ প্রামাণিক এবং শান্তিপুরে জয়ী জগন্নাথ সরকার ইস্তফা দেওয়ায় এই তিনটি আসনে উপনির্বাচন হবে। অন্যদিকে গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর ও খড়দহে জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহা মারা যাওয়ায় এই দুই কেন্দ্রেও ভোট করাতে হবে।